এক মাসে বিদ্যুৎ বিল ২১ হাজার টাকা, বিল দেখে চক্ষু চড়কগাছ অঙ্কুশের

এক মাসে বিদ্যুৎ বিল ২১ হাজার টাকা, বিল দেখে চক্ষু চড়কগাছ অঙ্কুশের

357e780d30376dbc3a0ab4428d3a56f6

কলকাতা: কথা নেই, বার্তা নেই, হু হু করে বাড়ছে বিদ্যুতের বিল৷ তাই লাগামছাড়াভাবে৷ গত মাসে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল মুম্বইয়ে৷ ইলেকট্রিক বিলে টাকার অঙ্ক দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়েছিল শহরের বেশিরভাগ মানুষের৷ মাসিক বিলের জন্য লাখ টাকা বিদ্যুৎ সংস্থাকে দিতে হয়েছে, এমন উদাহরণও রয়েছে৷ এবার সেই মাত্রাতিরিক্ত টাকার ইলেকট্রিক বিলের শিকার শহর কলকাতা৷ সম্প্রতি অভিনেতা অঙ্কুশ জানিয়েছে, এ মাসে তাঁর ইলেকট্রিক বিল এসেছে ২১ হাজার টাকা।

কিছুদিন ধরেই আকাশ ছোঁয়া বিদ্যতের বিল কাবু করেছে শহরবাসীকে। শহরতলীর চিত্রটাও ব্যতিক্রম নয়। যার মাসের শেষে বিল আসত ১ থেকে ২ হাজার টাকা, তারই বিল এসেছে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মতো। অনেকের তো আবার ৭০-৮০ হাজার টাকাও ইলেকট্রিক বিল এসেছে। কয়েকদিন ধরেই তাই CESC-র তুলোধোনা চলছে নেটদুনিয়ায়। কেউ তো সরাসরি 'ডাকাত' আখ্যা দিয়েছেন বিদ্যুৎসংস্থাকে। মাত্রাতিরিক্ত বিলের হাত থেকে মুক্তি মেলেনি রাজ্যেন নেতা মন্ত্রীদেরও। স্বয়ং বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের এ মাসের বিল এসেছে ১১ হাজার টাকা। একই অবস্থা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমেরও। তাঁর বাড়িতেও যে অঙ্কের বিল এসেছে, তা একেবারেই কাম্য নয়। আর অভিনেতা অঙ্কুশ জানিয়েছেন, তাঁর বিদ্যুতের মাসিক বিল এসেছে ২১ হাজার টাকা। যদিও অন্য সেলেবদের ইলেকট্রিক বিল কত এসেছে, তা এখনও প্রকাশ্যে আনেননি কেউ।

কিছুদিন আগে বলিউড অভিনেত্রী তাপসী পান্নু প্রথম মাত্রাতিরিক্ত ইলেকট্রিক বিলের কথা প্রকাশ্যে আনেন। জানান, এপ্রিলে তাঁর বিল এসেছিল ৪ হাজার ৩৬০ টাকা এবং মে মাসে ৩ হাজার ৮৫০ টাকা। আর জুন মাসে বিলের অঙ্ক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬ হাজার টাকা! এর মধ্যে তিনি এমন কোনও জিনিস কেনেননি বা বাড়িতে কোনও অনুষ্ঠানও ছিল না যে বিলের অঙ্ক বেড়ে যাবে। তাপসীর পর পুলকিত সম্রাট জানান তাঁর বিল এসেছে ৩০ হাজার টাকা। হুমা কুরেশি জানান তাঁর বিদ্যুতের বিল এসেছে ৫০ হাজার টাকা। যার ভিত্তি তিনি এখনও খুঁজে পাননি। এর কয়েকদিন পর অভিনেতা আরশাদ ওয়ার্সি জানান জুন মাসে তাঁর ইলেকট্রিক বিল এসেছে ১ লক্ষ ৩ হাজার টাকা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনও লেখেন, পরের মাসে যদি এমন বিল আসে তবে তাঁকে কিডনি বিক্রি করতে হবে। এবার সেই আকাশছোঁয়া ইলেকট্রিক বিলের শিকার রাজ্যবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *