মুম্বই: ১৪ বছর বয়সে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন বলিউড অভিনেতা আমির খানের মেয়ে ইরা খান। সোমবার এ কথা প্রকাশ করেছেন তিনি। ইরা একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতে এই অপব্যবহারের কথা প্রকাশ করেন এবং জানান যে কীভাবে গোটা বিষয়টি বুঝতে তাঁর এক বছর সময় লেগেছিল। এক বছর পর তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে তাঁকে যে নির্যাতন করেছিল “তারা ঠিক কী করেছিল”। তার পরে তিনি আমির ও মা রিনার সঙ্গে এ সম্পর্কে কথা বলেছিলেন।
ইরা বলেছেন, “আমার বয়স যখন ১৪ বছর। তখন আমাকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল। ওই পরিস্থিতিটা একটু অদ্ভুত ছিল। আমি জানতাম না যে যে কাজটা করছিল তিনি কী করছে। আমি তাদের একরকম চিনতাম। ওসব প্রতিদিন ঘটত না। তারা কী করছে তা নিশ্চিত হতে আমার প্রায় এক বছর সময় লেগেছিল। আমি তখনই আমার বাবা-মাকে একটি মেল করে ব্যাপারটা জানাই। তারপরই ওই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেয়েছি আমি। একবার আমি পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে যাওয়া পর আমার আর খারাপ লাগেনি। আমি ভয় পাইনি। আমি বুঝতে পেরেছি যে আমার সঙ্গে আর ওসব ঘটছে না। ওটাই শেষ। আমি এগিয়ে গিয়েছি এবং ওসব পিছনে ফেলে এসেছি।”
হতাশার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রসঙ্গে ইরা খান তাঁর সঙ্গে ঘটা যৌন নির্যাতনের কথা বলেছেন। অক্টোবরে তিনি এ নিয়ে বলা শুরু করেন। ভিডিওতে ইরা তাঁর জীবনের তিনটি বড় অভিজ্ঞতার কথা বলেন যা তাঁকে প্রভাবিত করেছিল। কিন্তু সেই অভিজ্ঞতা তাঁকে হতাশার দিকে নিয়ে যায়নি। যৌন নির্যাতনের পাশাপাশি ইরা তাঁর বাবা-মায়ের বিবাহবিচ্ছেদের কথাও বলেন। জানান, ২০০২ সালে তাঁর বাবা ও মায়ের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়। তিনি তখন ছোট ছিলেন। কিন্তু এর জন্য তিনি কখনও ট্রমাটাইজ হননি। ইরা বলেন, “আমাদের গোটা পরিবারই বন্ধু। আমরা কোনওভাবেই ভেঙে যাওয়া পরিবার নই। আমার বাবা-মা বিবাহবিচ্ছেদের পরেও জুনায়েদ এবং আমার ক্ষেত্রে খুব যত্ন নিতেন। লোকেরা যখন বলত, ‘আমরা দুঃখিত যে তোমার বাবা-মা বিচ্ছেদ করেছেন,’ আমি বুঝতে পারতাম না, কেন? এটি তো কোনও খারাপ জিনিস নয়। ইরা আরও বলেন, “আর একটা ব্যাপার আমি বুঝতে পারিনি যে এটি দুঃখজনক হতে পারে। এটি এমন কিছু যা আঘাত করতে পারে। এটি আমাকে ভয় পাওয়ায়নি। আমি এর বেশিরভাগটাই মনে করতে পারি। আমার বাবা-মায়ের বিবাহবিচ্ছেদে আমার কিছুই মনে হয়নি। সুতরাং, এটা আমার খারাপ লাগার কারণ হতে পারে না।”
ইরা খান ছয় বছর বয়সে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হওয়ার কথা বলেন। জানান, তাঁর সাধারণ টিবি ছিল। কিন্তু এখন তিনি রোগ থেকে সেরে উঠেছেন। অসুস্থতা তার মানসিকতায় কোনও প্রভাব ফেলেনি। ইরা এই ঘটনাগুলি মনে করিয়ে দিয়ে বলেন এর জন্য হতাশার কোনও কারণ নেই।