কলকাতা: আজ অভিনেত্রী সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর জন্মদিন৷ ৩৩ বছরে পা দিলেন টলি তারকা৷ সকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় শুভেচ্ছার বন্যা৷ ভক্তদের পাশাপাশি তাঁকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুরাও৷
আরও পড়ুন- ‘প্রেমিককে রাস্তায় চুম্বন, নির্জন সমুদ্রপাড়ে যৌনতায় মেতেছি’: খোলাখুলি তসলিমা
ছোট শহর থেকে আসা মিমি দাপিয়ে বেড়িয়েছেন রুপোলি পর্দায়৷ কোনও গডফাদার ছাড়াই ইন্ডাস্ট্রিতে শক্ত বুনিয়াদ গড়ে তুলেছেন৷ ২০১০ সালে ‘গানের ওপারে’ ধারাবাহিকেই প্রথম অভিনয় অধুনা টলি তারকা মিমি চক্রবর্তীর৷ ওই ধারাবাহিকে পুপের চরিত্রে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছিলেন তিনি৷ ফিল্ম দুনিয়ায় সফল কেরিয়ারের পর মিমি পা রাখেন রাজনীতির আঙিনায়৷ আর শুরুতেই সফল তাঁর রাজনীতির ইনিংস৷ প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েই সাংসদ নির্বাচিত হন মিমি চক্রবর্তী৷ তাঁর জীবনে বিতর্ক আসেনি এমনটা নয়৷ তবে যাবতীয় বিতর্ক পিছনে ফেলে মিমি এগিয়ে গিয়েছে নিজের ছন্দে৷
আজ মিমির জন্মদিনের একটি ছবি নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়৷ ওই ছবিতে ক্যাজুয়াল লুকে কেক হাতে ধরা দেন মিমি৷ ওই ছবির ক্যাপশনে অনিন্দ্য লেখেন, ‘কিছু বন্ধু আছে যাঁরা সোনার থেকেই বেশি দামী হন এবং এই মানুষটা নিশ্চিত রূপে তাঁদের মধ্যে অন্যতম। জন্মদিনের অঢেল শুভেচ্ছা।’
প্রিয় তারকার জন্মদিনে তাঁকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত তাঁর অনুরাগীরা৷ মিমিও কিন্তু তাঁর ফ্যানেদের নিরাশ করেন না৷ নিজের সিক্রেট শেয়ার করে নেন তাঁদের সঙ্গে৷ তবে নিজের লাভ লাইফ সিক্রেটই রেখেছেন অভিনেত্রী৷ এই বিষয়ে মুখে কুলুপ তাঁর৷ কিন্তু জানেন মিমি কী কী করতে ভালোবাসেন? তাঁর পছন্দের খাবারই বা কী?
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি প্রশ্নোত্তর পর্বে সামিল হয়েছিলেন অভিনেত্রী৷ তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, মায়ের হাতের রান্না নাকি কেনা খাবার পছন্দ তাঁর? উত্তরে মিমি জানান, ‘‘আমার মা রান্না করেন না, যখন করেন, তখন মায়ের হাতের রান্নাই পছন্দ৷ নহলে কেনা খাবারই৷ মিমি ফিটনেস ফ্রিক হলেও মিষ্টি খেতে খুবই ভালবাসেন তিনি। সবচেয়ে পছন্দ নলেন গুড়ের পায়েস৷
মিমির জন্ম উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি শহরে৷ ছোটবেলা কেটেছে অরুনাচল প্রদেশের তিরাপ জেলার দেওমালি শহরে। পরে তিনি পরিবারের সঙ্গে জলপাইগুড়িতে তাঁর পৈত্রিক বাড়িতে ফিরে আসেন। জলপাইগুড়ি হলি চাইল্ড স্কুলের পর তিনি ভর্তি হন বিন্নাগুড়ির সেন্ট জেমস স্কুলে। এরপর কলকাতার কলেজ থেকে স্নাতক হন৷