Aajbikel

বুকের ওপর গীতাঞ্জলী, শরীরে লাল পতাকা, দেহদানের ইচ্ছা পূরণ পরিচালকের

 | 
tarun

কলকাতা: চেয়েছিলেন আড়ম্বরহীন শেষযাত্রা। ভিড় থেকেই দুরেই থাকার ইচ্ছা ছিল তাঁর। সেই ইচ্ছা পুরণ হল খ্যাতনামা পরিচালক তরুণ মজুমদারের। তবে এর বাইরেও আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইচ্ছা প্রকাশ করে গিয়েছেন তিনি। দেহ দানের। তাও হল। তাঁর শেষ সমস্ত ইচ্ছার মর্যাদা দিয়েই শেষ যাত্রা হল তরুণ মজুমদারের। অসীম যাত্রার পথে তাঁর শরীরের সঙ্গে সাদা চাদর ছাড়া শুধু লেপ্টে থাকল কমিউনিস্ট পার্টির লাল পতাকা এবং বুকের ওপর গীতাঞ্জলি।

আরও পড়ুন- দুঃসাহসিক অবতরণ! ১৮৫ যাত্রীর জীবন বাঁচিয়ে ‘হিরো’ ক্যাপ্টেন মনিকা খান্না

আজীবন বামপন্থী ধ্যানধারণায় বিশ্বাসী ছিলেন পরিচালক তরুণ মজুমদার। চাননি তাঁর শেষযাত্রায় কোনও গান স্যালুট হোক কিংবা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন। শয়ে শয়ে লোক থাকবে তাঁর মরদেহের সামনে এমনও ইচ্ছা ছিল না তাঁর। সেই সব ইচ্ছাই মান্যতা পেয়েছে। এদিন তাঁর মৃত্যুর পর পরিচালকের মরদেহ নিয়ে আসা হয় এনটিওয়ান স্টুডিওতে। তার আগে এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র ছাড়াও ইন্দ্রনীল সেন, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, শতরূপ ঘোষ, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়রা। তারপর স্টুডিওতে মরদেহ আনা হলে সেখানে উপস্থিত হন একাধিক কলাকুশলী। তাদের মধ্যে ছিলেন দেবশ্রী রায়, অনামিকা সাহা, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়, দোলন রায় সহ প্রমুখ।

কিডনি এবং হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যায় দীর্ঘ দিন ধরেই ভুগছিলেন তিনি৷ গত ১৪ জুন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ কিন্তু, অবস্থার অবনতি হওয়ায় উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে তাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কিছুটা অবস্থার উন্নতি হয়েছিল৷ চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছিলেন৷ কিন্তু শেষরক্ষা আর হল না। আজ সকাল ১১.১৭ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বর্ষীয়ান এই পরিচালক।

Around The Web

Trending News

You May like