কলকাতা: টানা কয়েক সপ্তাহের লড়াই শেষ হয়েছে আজ। না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন বাংলা তথা দেশের অন্যতম খ্যাতনামা পরিচালক তরুণ মজুমদার। চিরকাল তিনি কার্যত লোকচক্ষুর আড়ালেই থেকেছেন। অন্যান্য পরিচালক বা অভিনেতার মতো বারংবার ক্যামেরার সামনে তাঁকে দেখা যায়নি। শেষযাত্রাতেও এমনই চেয়েছেন তিনি বলে পরিবার সূত্রে খবর। তাঁর শেষযাত্রায় যাতে মানুষের ঢল না হয় এমনই নাকি চাওয়া ছিল তাঁর।
আরও পড়ুন- দুঃসাহসিক অবতরণ! ১৮৫ যাত্রীর জীবন বাঁচিয়ে ‘হিরো’ ক্যাপ্টেন মনিকা খান্না
কিডনি এবং হৃদ্যন্ত্রের সমস্যায় দীর্ঘ দিন ধরেই ভুগছিলেন তিনি৷ গত ১৪ জুন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ কিন্তু, অবস্থার অবনতি হওয়ায় উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে তাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কিছুটা অবস্থার উন্নতি হয়েছিল৷ চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছিলেন৷ কিন্তু শেষরক্ষা আর হল না। আজ সকাল ১১.১৭ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বর্ষীয়ান এই পরিচালক। জানা গিয়েছে, শত ভিড় থেকে আড়ালেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে। পরিবারের সঙ্গে কথা বলেই সব সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা জানা যায়নি। এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছেছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
১৯৩১ সালে অবিভক্ত বাংলার বগুড়ায় জন্ম তরুণ মজুমদারের৷ বাবা বীরেন্দ্রনাথ মজুমদার ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। বগুড়ায় জন্ম হলেও তরুণের পড়াশোনা কলকাতায়। সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল মিশন কলেজ এবং স্কটিশ চার্চ কলেজের ছাত্র তরুণ পরে রসায়ন নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেন। পড়াশোনা শেষ করার বেশ কয়েক বছর পর ১৯৫৯ সালে তিনি পা রাখেন চনচ্চিত্রের দুনিয়ায়। পরবর্তী সময়ে চারটি জাতীয় পুরস্কার, সাতটি বি.এফ.জে.এ. সম্মান, পাঁচটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার ও একটি আনন্দলোক পুরস্কার রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। ১৯৯০ সালে পদ্মশ্রী সম্মান পান তিনি।