স্যান্ডি সাহার সঙ্গে ঝগড়ায় সেট ছাড়লেন শ্রীতমা, কারণ জানালেন অভিনেত্রী নিজেই

স্যান্ডি সাহার সঙ্গে ঝগড়ায় সেট ছাড়লেন শ্রীতমা, কারণ জানালেন অভিনেত্রী নিজেই

কলকাতা: অভিনয় জগতে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে অভিনেত্রী শ্রীতমা ভট্টাচর্যের সঙ্গে তুমুল ঝগড়ায় জড়ালেন স্যান্ডি সাহা। এই ঝগড়ার জেরে খানিকক্ষণ শুটিং বন্ধ রইল বলে জানা গিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, স্যান্ডি সাহার একটি ইয়ার্কিকে কেন্দ্র করে বচসার সূত্রপাত হয়। 

বসন্ত বিলাস মেসবাড়ি সেটে  রিল লাইফে ভাইবোন স্যান্ডি সাহা ও শ্রীতমা ভট্টাচর্যের সঙ্গে জোর বিবাদ। শোনা যাচ্ছে বিবাদের জেরে শ্রীতমা সেট ছেড়ে বেরিয়ে যান। প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সেটে ঢুকতে দেরি করেন স্যান্ডি সাহা। সময়ের মধ্যেই শ্রীতমা চলে এসেছিলেন। স্যান্ডি সাহার দেরিতে আসা নিয়ে একটু বিরক্ত হন শ্রীতমা। স্যান্ডি সাহা মেকআপ করতে চলে যাওয়ার পর সব স্বাভাবিক হয়ে যায়। 

তাল কাটে শুটিংয়ের সেটে। সেখানে শ্রীতমা স্যান্ডি সাহাকে দেরিতে আসার কারণ জিজ্ঞাসা করেন। কিন্তু স্যান্ডি সেই সময় মজা করে একটা উত্তর দেয়। যা মোটেই ভালোভাবে মেনে নেননি শ্রীতমা। এতে প্রথমে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। তারপর তা বচসার আকার ধারণ করে। দুই জনেই সারাদিন নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখছিলেন বলে জানা গিয়েছে। রাগে শ্রীতমা সেট ছেড়ে বেরিয়ে যায়। এই প্রসঙ্গে মা খ্যাত শ্রীতমা ভট্টাচর্য বলেন, আসলে স্যান্ডি সাহা ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন। ফ্লোরের ডেকোরাম জানে না।  ফ্লোরের ডেকোরাম না-ই জানতে পারে। কিন্তু না জেনে তর্ক করা বোকামি বলে শ্রীতমা ভট্টাচর্য মন্তব্য করেন। পাশাপাশি শ্রীতমা ভট্টাচর্য বলেন, এমনিতে স্যান্ডি সাহা খুব ফান লাভিং। সব সময় হাসি মজা করে। কিন্তু ফ্লোরে ডেকোরাম মেনে চলা উচিত। কাজ ও মজার মাঝখানে ব্য়ালেন্স রাখা উচিত।  ভবিষ্যতে কাজেরই সুবিধা হয়। 

অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়া ইন্সফ্লুয়েন্সার বলেন, ‘এমনিতে শ্রীতমার সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো। ও আমাকে কয়েকদিন আগে একটা সানগ্লাস গিফট করেছে। ও ফ্লোরে খুব ইয়ার্কি করে। আমিও করি। তবে আমি ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন। কিন্তু যে আমার সঙ্গে যে রকম ব্যবহার করে, আমি সেই রকম ব্যবহার ফিরিয়ে দিই। এখানে সিনিয়র বা জুনিয়র বলে কিছু নেই।’                                                                                                                                                                                                                                                                                                          
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − 12 =