খুন না আত্মহত্যা? কী বলছে অভিনেত্রী পল্লবীর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট?

খুন না আত্মহত্যা? কী বলছে অভিনেত্রী পল্লবীর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট?

কলকাতা:  রবিবার নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় টেলি অভিনেত্রী পল্লবী দের দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রথম থেকেই পল্লবীর পরিবারের তরফে দাবি করা হচ্ছে, খুন করা হয়েছে। অভিযোগের তির অভিনেত্রীর লিভ ইন পার্টনারের দিকে। তবে গলায় ফাঁস লাগার কারণেই অভিনেত্রীর মৃত্যু হয়েছে, এমনটাই মনে করছেন পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে, আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন পল্লবী দে। ময়না তদন্তের রিপোর্টে সেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। 

ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, পল্লবীর গলায় নন কন্টিনিউয়াস লিগেচার মার্ক রয়েছে। তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, যদি অন্য কেউ গলায় ফাঁস দিতেন, সেক্ষেত্রে পুরো গলা জুড়ে দাগ থাকত। তাকে বলা হয় কন্টিনিউয়াস মার্ক। কিন্তু নন কন্টিনিউয়াস মার্কে পল্লবীর নিজে গলায় ফাঁস দেওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ঝুলেই যে পল্লবীর মৃত্যু হয়েছে, তদন্তে পুলিশের কাছে সেই প্রমাণ আগেই এসেছে। তবে আত্মহত্যার সময় অনেকক্ষেত্রে জিভ বেরিয়ে আসে। লালা পড়তে থাকে। পল্লবীর ক্ষেত্রে সেসব কিছু হয়নি। পল্লবীর লিভ ইন পার্টনার সাগ্নিকের দাবি, তিনি বাইরে ধুমপান করতে গিয়েছিলেন। ফিরে এসেই পল্লবীকে এই অবস্থায় দেখেন। এই প্রসঙ্গে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে মনে করে, বেশিক্ষণ ঝুলন্ত অবস্থায় পল্লবী ছিল না। তাই জিভ বেরিয়ে যাওয়া বা লালারস পড়ার মতো ঘটনা ঘটেনি। 

রবিবার দুপুরে গড়ফার বাড়ি থেকে পুলিশ অভিনেত্রী পল্লবী দের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ পল্লবী দের লিভ ইন পার্টনারের ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে। পাশাপাশি পল্লবীর ফোনও বাজেয়াপ্ত করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে পল্লবীর লিভ ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তীকে। পুলিশ সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদ সাগ্নিক জানিয়েছে, বেশ কিছু সোনার গয়না ঋণে কিনেছিল। যে সিরিয়ালটি করছিলেন পল্লবী, তা শেষের দিকে, কীভাবে ঋণ শোধ করবেন তাই নিয়ে অবসাদে ছিলেন। নতুন কোনও কাজের সুযোগ আসছিল না বলেও চিন্তায় ছিলেন পল্লবী। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − 7 =