মুম্বই: নিজের বাড়ি ‘প্রভুকুঞ্জ’ থেকে শেষবারের মতো বেরিয়ে গেলেন তিনি। আর বাড়িতে ফিরবেন না লতা মঙ্গেশকর। বিকেলেই মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই তাঁর মরদেহ শিবাজি পার্কের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। ‘নাইটঅ্যাঙ্গেল’কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে রাস্তায় মানুষের ঢল দেখা যাচ্ছে। এর আগে প্রয়াত শিল্পীর বাড়িতে উপচে পড়ে ভক্তদের ভিড়। শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্টরা। তাঁকে শেষবারের মতো দেখতে যান শচীন তেণ্ডুলকর, জাভেদ আখতার, অনুপম খের, শ্রদ্ধা কাপুর সহ অমিতাভ বচ্চন, শ্বেতা বচ্চন। লতা মঙ্গেশকরের দেহ ঢাকা হয়েছে তেরঙ্গা পতাকায়। ইতিমধ্যেই সোমবার রাজ্যে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। এখন শিবাজি পার্কে লতা মঙ্গেশকরের শেষকৃত্যের প্রস্তুতি চলছে শেষ পর্যায়ে।
কোভিডে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। তবে শুধু করোনা নয়, জানা গিয়েছিল তিনি নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁকে নিয়ে বেশ চিন্তায় ছিলেন চিকিৎসকরা। একে বয়সজনিত কারণ, অন্যদিকে করোনার সঙ্গে ফুসফুসে সংক্রমণ, দুইয়ে মিলিয়ে উদ্বেগ ছিল। গত বছর ২৮ সেপ্টেম্বর ৯২ বছর পূর্ণ করেছেন সুর সাম্রাজ্ঞী। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই গৃহবন্দি৷ বাইরে বিশেষ বেরতেন না৷ তবে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ তৎপর ছিলেন৷ মনে করা হচ্ছে, কোনও ঘনিষ্ট ব্যক্তি বা পরিচারিকার থেকে তিনি সংক্রমিত হয়েছিলেন৷ যে ভয়টা চিকিৎসকরা পাচ্ছিলেন সেটাই হয়েছে। কোভিড মুক্ত হলেও করোনা পরবর্তী জটিলতায় মৃত্যু হল ভারতরত্নার।
১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশের ইনদৌরে এক সঙ্গীত পরিবারে জন্ম হয় লতার৷ তাঁর বাবা দীননাথ মঙ্গেশকর ছিলেন মারাঠি সঙ্গীত জগতের ধ্রুপদী শিল্পী। বাবার থেকেই প্রথম তালিম তাঁর। মাত্র ১৩ বছর বয়সে প্রথম গান রেকর্ড করেন লতা৷ যদিও সেই গানটি পরবর্তী সময়ে ছবি থেকে বাদ পড়েছিল। গানের জন্যেই ১৯৪৫ সালে মুম্বইয়ে পাড়ি দেন কিংবদন্তি শিল্পী৷