মুম্বই: কোভিডে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। তবে শুধু করোনা নয়, জানা গিয়েছিল তিনি নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁকে নিয়ে বেশ চিন্তায় ছিলেন চিকিৎসকরা। একে বয়সজনিত কারণ, অন্যদিকে করোনার সঙ্গে ফুসফুসে সংক্রমণ, দুইয়ে মিলিয়ে উদ্বেগ ছিল। শেষ পর্যন্ত যে ভয় পাচ্ছিলেন তারা, সেটাই হল। তবে কোভিড মুক্ত হয়েও জীবনের গতিতে ফিরতে পারলেন না সুর সম্রাজ্ঞী। তাহলে কীসের কাছে হেরে গেলেন তিনি?
আরও পড়ুন- প্রথা ভেঙে বাগদেবীর আরাধনা, পুরোহিতের আসনে অশোকনগরের দশম শ্রেণির ছাত্রী
জানুয়ারির মাসের শুরুতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হন লতা মঙ্গেশকর। প্রথম থেকেই তাঁকে নিয়ে বেশ তৎপর ছিলেন চিকিৎসক মহল। প্রাথমিকভাবে তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। মাঝে কিছুটা সুস্থ হলেও আবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় তাঁর। তবে কোভিড নয়, কোভিড পরবর্তী জটিলতার কাছে পরাস্ত হলেন লতা মঙ্গেশকর। এমনটাই জানিয়েছে, ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাদের বক্তব্য, মাল্টি অর্গান ফেইলিউরের জেরেই মৃত্যু হয়েছে কোকিলকণ্ঠীর। প্রায় ১ মাস হাসপাতালে ভর্তি থেকে কোভিড মুক্ত হলেও করোনা পরবর্তী জটিলতায় চলে গেলেন তিনি। জানা গিয়েছে, আজ সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে ‘ভারতরত্ন’ লতা মঙ্গেশকরের।
১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশের ইনদৌরে এক সঙ্গীত পরিবারে জন্ম হয় লতার৷ তাঁর বাবা দীননাথ মঙ্গেশকর ছিলেন মারাঠি সঙ্গীত জগতের ধ্রুপদী শিল্পী। বাবার থেকেই প্রথম তালিম তাঁর। মাত্র ১৩ বছর বয়সে প্রথম গান রেকর্ড করেন লতা৷ যদিও সেই গানটি পরবর্তী সময়ে ছবি থেকে বাদ পড়েছিল। গানের জন্যেই ১৯৪৫ সালে মুম্বইয়ে পাড়ি দেন কিংবদন্তি শিল্পী৷ এর পর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। আজ যখন লতা মঙ্গেশকর পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করলেন তখন তাঁর ঝুলিতে রয়েছে হিন্দি সহ আরও পঁয়ত্রিশটা ভাষায় অন্তত হাজার খানেক গান। সব মিলিয়ে মোট ৩০ হাজারেরও বেশি গান। তাছাড়া ভারতরত্ন, পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ, দাদা সাহেব ফালকে ও একাধিক জাতীয় পুরস্কার।