মুম্বই: দেশের সঙ্গীত জগতের ডিস্কের সুর যেন হারিয়ে গিয়েছে। না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন বাপ্পি লাহিড়ী। যত দিন তিনি বেঁচে ছিলেন তত দিন রাজকীয় ভাবেই বিরাজমান ছিলেন। মৃত্যুর পরেও সেই সত্তা হারায়নি ‘গোল্ডেন বয়’র। বাপ্পি লাহিড়ীর শেষ যাত্রাতেও রাজকীয়তার ছোঁয়া। না পরনে তাঁর সোনার গয়না নেই, কিন্তু চিরাচরিত কালো সানগ্লাস রয়েছে তাঁর চোখে। শেষ বার নিজের বাড়ি থেকে যখন তিনি বেরলেন তখন আশে পাশে বহু মানুষের ভিড়। শেষবারের মতো প্রিয় গায়ক, সুরকারকে দেখতে চাওয়ার তাগিদ সকলের।
আরও পড়ুন- ‘গীতশ্রী’র প্রয়াণে একরাশ শূন্যতা সঙ্গীত জগতে
সোশ্যাল মিডিয়াতে বাপ্পি লাহিড়ীর শেষ যাত্রার ছবি ধরা পড়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, তাঁর গায়ে ফুলের মালা। আর চোখে সেই কালো চশমা। জীবনের শেষ বেলা পর্যন্ত যে কালো চশমা তাঁর সঙ্গী ছিল, সৎকারের আগেও সেটি তাঁর সঙ্গেই রয়েছে। তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে পবন হংস শ্মশানে। সেখানেই চলছে তাঁর সৎকারের কাজ। বাপ্পি লাহিড়ীর ছেলে বাপ্পা ও তাঁর স্ত্রী লস অ্যাঞ্জেলস থেকে ফেরার অপেক্ষায় ছিল গোটা পরিবার৷ বাপ্পার কাঁধে চড়েই বাড়ি থেকে বের হয় বাপ্পি দা’র পার্থিব শরীর৷ সকাল থেকেই তাঁর বাড়ির সামনে উপচে পড়েছিল ভিড়। গায়কের প্রয়াণের খবর শুনে গতকালই বলিউডের একাংশ বাপ্পি দার বাড়িতে এসেছে তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানিয়ে গিয়েছেন৷
গত বছর এপ্রিল মাসে করোনা আক্রান্ত হন বাপ্পি লাহিড়ি৷ সেই সময় মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। সেই সময় করোনাকে হারিয়ে বাড়িও ফিরে এসেছিলেন৷ মঙ্গলবার মধ্যরাতে ‘অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া (ওএসএ)’-তে আক্রান্ত হয়ে মুম্বইয়ের ক্রিটিকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শিল্পী৷ গত প্রায় একমাস ধরে নানারকম শারীরিক সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সোমবারই বাড়ি ফিরেছিলেন৷ কিন্তু মঙ্গলবার ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন শিল্পী। পরিবারিক চিকিৎসক অবিলম্বে তাঁকে ক্রিটিকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন। মঙ্গলবার মধ্যরাতে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর।