রাজ চক্রবর্তীর নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে আর্থিক প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৩

কলকাতা: ফের পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণা। পরিচালক নিজেই তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট এই খবর জানিয়েছেন। পরিচালকের নাম নিয়ে কয়েকজন প্রতারক শিল্পীদের থেকে টাকা নিছিল বলে অভিযোগ। ঘটনায় এক মহিলা সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে কসবা থানার পুলিশ।

1e5759b4dc4ef23e7e519bdaa039f518

 

কলকাতা: ফের পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণা। পরিচালক নিজেই তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট এই খবর জানিয়েছেন। পরিচালকের নাম নিয়ে কয়েকজন প্রতারক শিল্পীদের থেকে টাকা নিছিল বলে অভিযোগ। ঘটনায় এক মহিলা সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে কসবা থানার পুলিশ।

সোশ্যাল সাইটে কিছুদিন যাবৎ একটি বিজ্ঞাপন ঘুরে বেড়াচ্ছিল। সেখানে লেখা ছিল রাজ চক্রবর্তী তাঁর কোনও এক প্রোজেক্টের জন্য শিশু শিল্পীর খোঁজ করছেন। এমন বিজ্ঞাপন চোখে পড়ার পর অনেক অভিভাবকই তাঁদের সন্তানদের নিয়ে যোগাযোগ করেন। অডিশন দেওয়ান। তখনই রাজ চক্রবর্তীর কানে খবরটি পৌঁছয়। তিনি জানতে পারেন কয়েকজন প্রতারক তাঁর নাম ভাঁড়িয়ে টাকা নিচ্ছে। এই ঘটনার পরই তিনি কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেন পুলিশ। তারপর বর্ণালী ঘোষ, রাজু নাথ ও দীপম কুণ্ডু এবং নামে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়।

ফেসবুকে পরিচালক লেখেন, “ফেসবুকে আমার এবং আমার কোম্পানি ‘রাজ চক্রবর্তী এন্টারটেইনমেন্ট’-এর নাম করে প্রচুর ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়েছে। এবং, প্রচুর মানুষ নিজের অজান্তেই বুঝতে না পেরেই সেই সব ভুয়ো অ্যাকাউন্ট ফলো করছে। তাদের সহজ মানসিকতার সুযোগ নিয়ে কিছু ভুয়ো লোকজন এই অ্যাকাউন্টগুলোর মাধ্যমে মেয়েদের সাথে কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অশ্লীল চ্যাট করছে। অনেকের কাছ থেকে অভিনয় করার সুযোগ দেওয়ার বিনিময়ে প্রচুর টাকাও নিচ্ছে৷ আমি আগেও বলেছি, আমি ফেসবুকে কারোর সাথে ব্যাক্তিগত ভাবে চ্যাট করি না৷ আর, social media-তে আমার বা আমার কোম্পানির প্রত্যেকটি পেজই VERIFIED. অর্থাৎ, পেজের পাশে একটি ‘blue tick’ দেওয়া আছে। আমাদের এখানে টাকার বিনিময়ে কোনওরকম কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয় না। কাজ করার মাপকাঠি শুধুমাত্র তোমাদের যোগ্যতা। আমরা আজকেই তিনজন ভুয়ো ব্যাক্তি-র নামে কসবা থানায় ডায়েরি করেছি৷ এখন তারা পুলিশের হেফাযতে৷ সুতরাং, আপনাদের বারংবার অনুরোধ করছি এই ধরনের মিথ্যে প্রলোভনে পা দেবেন না। ধন্যবাদ।”

এর আগে এমন ঘটনা ঘটেছে বহুবার। আর অদ্ভুতভাবে এইসব প্রোফাইলের বেশিরভাগে রাজ চক্রবর্তীর ছবি ও নামের পাশাপাশি থাকে নীল রঙের টিক। অর্থাৎ প্রোফাইল ভেরিফাইড। সেখান থেকেই বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ে। মাস খানেক আগে এক মহিলা অনুরাগী রাজ চক্রবর্তী ভেবেই ‘টানটান’ নামক এক ডেটিং সাইটে মেসেজ করেন। দু’একটি কথা হয় তাঁদের মধ্যে। কিন্তু তারপরও সে অনুযায়ী বুঝতে পারেন প্রোফাইলের মালিক আসলে রাজ চক্রবর্তী নন। কারণ সেই ব্যক্তির কথার মধ্যে পরিচালকসুলভ বা মার্জিত কোনও ব্যবহার নেই। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। রাজ নামে ওই ব্যক্তি ওই মহিলা ছাড়া আরও অনেক মহিলাকে নোংরা এবং অশালীন প্রস্তাব পাঠিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। আর এবার রাজের নামে ভুয়ো প্রোফাইল খুলে উঠল প্রতারণার অভিযোগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *