কলকাতা: করোনা পরিস্থিতি যে ভয়াবহ আকার নিয়েছে, তাতে লকডাউনই ছাড়া উপায় নেই। সেই কারণে গোটা দেশ জুড়ে লকডাউন জারি হয়েছে। তার জন্য বন্ধ স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজগুলি। মাঝপথে বন্ধ হয়েছে পরীক্ষা। এই অবস্থায় রাজ্য সরকারের তরফে লাইভ ক্লাসের উদ্যোগ নেওয়া হলেও একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের স্বার্থে অসমাপ্ত পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়েছে অল পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।
সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, ২১ দিনের লকডাউন শেষ হতে চললেও কোভিড ১৯ সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে একাদশ শ্রেণির মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়া পরীক্ষা সম্পূর্ণ করা অসম্ভব। তাছাড়া একাধিক স্কুল কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে নিয়েছে সরকার। ফলে পরীখা পুনরায় চালু করার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হবে। এদিকে পরীক্ষা সম্পূর্ণ না হওয়ায় একাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা পরবর্তী শ্রেণির পড়াশোনা শুরু করতে পারে।
শিক্ষক সংগঠনের সম্পাদক চন্দন গরাই বলেন, 'বর্তমান সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে একাদশ শ্রেণির অসমাপ্ত পরীক্ষা বাতিল করে পরীক্ষার্থীদের দ্বাদশ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করার পদক্ষেপ করতে শিক্ষা দপ্তরকে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। কারণ, এই মুহূর্তে শুধু রাজ্যই নয়, গোটা দেশে কোভিড ১৯ যেভাবে প্রভাব ফেলেছে তাতে স্বাভাবিক পঠনপাঠনের পরিবেশ তৈরি হতে কমপক্ষে আরও তিনমাস সময় লাগবে। তাই এই দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীসহ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদে চিঠি পাঠিয়েছি আমরা। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির অসমাপ্ত পরীক্ষার বিষয়ে আমাদের দাবি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে রাজ্য সরকারকে।'
এই প্রসঙ্গে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সব পড়ুয়াকে পাশ করানো সংক্রান্ত ঘোষণাও উল্লেখ করেছে সংগঠন। সিবিএসসি-সহ অন্যান্য অনেক রাজ্যের শিক্ষা দফতরও যে অনুরূপ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেই কথাও বলে তারা। এই অবস্থা সামঞ্জস্য রক্ষার জন্য শিক্ষা দফতরেরও উচিত একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের উত্তীর্ণ ঘোষণা করা। তাহলে অ্যাকাডেমিক দিনসংখ্যা নষ্ট হবে না, বিশ্বাস শিক্ষক সংগঠনের৷