ভোটের লাইনে খুদেরা কেন? চুপ মন্ত্রিসভার নির্বাচন চলছে

মুর্শিদাবাদ: খুদে পড়ুয়ারা ভোট দিতে যাচ্ছে? কী চমকে গেলেন তো। চমকালেই কিন্তু ছবিটা বদলে যাবে না। গায়ে চিমটি কেটে দেখুন ঠিকই দেখছেন।আপনার সামনে সারিবদ্ধ ভাবে ভোটারের লাইনে দাঁড়িয়ে আছে খুদেরা।ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার আন্ডিরণ প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেখানকার পড়ুয়ারা স্কুলেই ভোটদিতে এসেছে,হাতে সচিত্র পরিচয়পত্র। তা যাচাই হওয়ার পর আঙুলে কালি পড়ল,এবার ব্যালট পেপাড় নিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট

ভোটের লাইনে খুদেরা কেন? চুপ মন্ত্রিসভার নির্বাচন চলছে

মুর্শিদাবাদ: খুদে পড়ুয়ারা ভোট দিতে যাচ্ছে? কী চমকে গেলেন তো। চমকালেই কিন্তু ছবিটা বদলে যাবে না। গায়ে চিমটি কেটে দেখুন ঠিকই দেখছেন।আপনার সামনে সারিবদ্ধ ভাবে ভোটারের লাইনে দাঁড়িয়ে আছে খুদেরা।ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার আন্ডিরণ প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেখানকার পড়ুয়ারা স্কুলেই ভোটদিতে এসেছে,হাতে সচিত্র পরিচয়পত্র। তা যাচাই হওয়ার পর আঙুলে কালি পড়ল,এবার ব্যালট পেপাড় নিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়া। এভাবেই শিশুদের গণতন্ত্রের পাঠ দিচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ দত্ত জানালেন, ২০১২ থেকেই শিশুদের মন্ত্রিসভা রয়েছে স্কুলে।প্রতিবছরই সেই মন্ত্রীসভার রদবদল হয়, সংসদ নির্বাচন হয় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে। তাই ভোটও হয়, পাঁচ মন্ত্রীর নির্বাচনে সব পড়ুয়া ভোটে অংশ নেয। এবার পাঁচজনের পদে জেতার জন্য ২০জন পড়ুয়া ভোটে লড়ছে। পড়াশোনার পাশাপাশি এই বয়সেই গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার অন্যতম বৃহৎ নির্ঘণ্ট নির্বাচন সম্পর্কে একটা সুস্পষ্ট ধারণা পাচ্ছে শিশুরা। যা তাদের পরবর্তী রাজনৈতিক মানসিকতা গঠনে কার্যকরী হবে, এমনটাই মনে করেন শিক্ষকরা।

বলা বাহুল্য, ভারতীয় উপমহাদেশে ভোট একটা বিরাট বিষয়। এই ভোটই আপনাকে নির্ধারণ করে দেয়পক্ষে থাকছেন না বিপক্ষে। ক্ষমতার শীর্ষে থেকে লাভের গুড় খাবেন, নাকি বিরোধিতা করে বিপত্তির মুখে পড়বেন। শিক্ষা দুপক্ষ থেকেই নেওয়া যায়, তবে ভালটা গ্রহণ করবেন নাকি খারাপটা, তা সবটাই নিজস্ব মর্জির উপরেই নির্ভর করে। আন্ডিরণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা ঠিক কতটা বুঝে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছে সেটা শুধু আলোচ্য নয়, নির্বাচিত মন্ত্রী ভোটদাতাদের উন্নয়নের লক্ষ্যে কী করছেন সেটাও ভাবতে হবে। যদি কথা না রাখেন তো পরের বছর হারতে হবে। এই থেখে ভোটদাতা খুদেরা ও ওই মন্ত্রী বর্গ কত কী শিখল তা বিবেচ্য বইকি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − seven =