আজ বিকেল: রাজনৈতিক অশান্তি গোটা দেশেই এক চলমান সমস্যা। কেউ যেন এই সমস্যার বাইরে নন, বিরোধীরা যদি রাজ্যের ক্ষমতা দখল করে থাকে তাহলে অশান্তি বাধলেই সেখানকার রাজ্যাপল ওই ক্ষমতার পরিসরে নাক গলাতে থাকেন। যেটি শাসকদল কখনওই মেনে নেয় না। তবুও ঘটে, অন্তত এই মুহূর্তে এমন ঘটনা আকছার ঘটছে। চবুও রাজ্যে অবস্থিত কেন্দ্রের প্রতিনিধি তথা রাজ্যপালকে কেউ ছোট করে দেখার কথা ভাবতেই পারে না। সেখানে সরকারি চাকরির পরীক্ষায় রাজ্যপালকে বলা হল কাঠপুতলি। বিষয়টি প্রকাশ্য আসতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
সাধারণত দেখা যায়, কোনও রাজ্যপালের কাজকর্ম পছন্দ না হলে রাজনীতিকরা তাঁকে কেন্দ্রের কাঠপুতলি বলে সমালোচনা করেন। কিন্তু রাজ্যপালের মতো একটি সাংবিধানিক পদ সম্পর্কে কোনও সরকারি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে কি ওই শব্দটি ব্যবহার করা উচিত? বিহারে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেখে দেশ জুড়ে এই নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।রবিবার বিহারে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা ছিল। তাতে জেনারেল নলেজের পেপারে প্রশ্ন করা হয়, ভারতের রাজ্য রাজনীতিতে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা কর। তাঁকে কি কাঠপুতলি বলা যায়?
এই নিয়ে বিতর্কের পরেই বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশনের আধিকারিকরা একবাক্যে বলেছেন, প্রশ্নপত্র সেটের ব্যাপারে তাঁদের কোনও ভূমিকা নেই। তাঁদের বক্তব্য, যে শিক্ষককে প্রশ্নপত্র তৈরি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তিনিই এর জন্য দায়ী। তবে তাঁরাও স্বীকার করেছেন, ‘কাঠপুতলি’ শব্দটি না ব্যবহার করলেই ভাল হত।বিহারে এখন ক্ষমতায় আছে জনতা দল ইউনাইটেড ও বিজেপির জোট। আগামী বছরেই রাজ্যে ভোট। শাসক জোটের দুই শরিকের সম্পর্ক এখন তলানিতে ঠেকেছে। গত এপ্রিল-মে মাসে লোকসভা ভোটে বিপুলভাবে জয়লাভ করে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ইউনাইটেড জনতা দল ১৬ থেকে ১৭ টি আসন পেয়েছে। কিন্তু তার পরেও বিজেপি তাদের মাত্র একটি মন্ত্রী পদ দিতে চেয়েছিল। নীতীশ কুমার তাতে অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় আরও একটি প্রশ্ন করা হয়েছিল, কোনও নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক রাজনৈতিক দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা কি ভালো না খারাপ? এসম্পর্কে তোমার মতামত জানাও।