কলকাতা: প্রকাশিত হল চলতি বছরের জয়েন্ট এন্ট্রাসের ফলাফল৷ যার নিরিখে দেখা যাচ্ছে এবারে জয়েন্টে কার্যত জয় জয়কার জেলার৷ দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ তিনটি স্থানই ছিনিয়ে নিয়েছে জেলার পড়ুয়ারা৷ তবে মেধা তালিকার সার্বিক নিরিখে এগিয়ে রয়েছে কলকাতা৷
এবারে জয়েন্টে প্রথম হয়েছেন রহড়া রামকৃষ্ণ মিশন হাইস্কুলের ছাত্র পাঞ্চজন্য দে। দ্বিতীয় হয়েছেন বাঁকুড়া জেলা স্কুলের ছাত্র সৌম্যজিৎ দত্ত। তৃতীয় নদীয়ার শান্তিপুর মিউনিসিপ্যাল স্কুলের ছাত্র ব্রতীন মণ্ডল। চতুর্থ হাওড়ার লিলুয়ার এমসি কেজরীবাল বিদ্যাপীঠের অঙ্কিত মণ্ডল। পঞ্চম কলকাতার নারায়ানা ই টেকনো স্কুলের ছাত্র গৌরব দাস। ষষ্ঠ কলকাতার দিল্লি পাবলিক স্কুলের আযুষ গুপ্তা। সপ্তম হয়েছেন কলকাতার আর্মি পাবলিক স্কুলের ঋতম দাসগুপ্ত। অষ্টম নরেন্দ্রপুরের বিডি মেমোরিয়াল ইন্টারন্যাশনালের সপ্তাশ্ব ভট্টাচার্য। নবম দমদমের সেন্ট স্টিফেন স্কুলের নবম ঋষি কেজরিওয়াল এবং দশম হয়েছেন বালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট হাইস্কুলের সৌহার্দ্য দত্ত। ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন বোর্ডের পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে বাঁকুড়ার মুখ উজ্জ্বল করল সৌম্যজিৎ দত্ত। বাঁকুড়া জেলা স্কুলের এই ছাত্রের কৃতিত্বে গর্বিত সকলেই।
করোনাকালে রাজ্যে প্রথম অফ লাইন পরীক্ষা ছিল জয়েন্ট এন্ট্রান্স। যা গত ১৭ জুলাই নেওয়া হয়। এদিন ফল প্রকাশের পর সৌম্যজিতের কেশিয়াকোলের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল আনন্দ উৎসবের বন্যা বইছে। বাবা ডাঃ স্বরুপ দত্ত বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অ্যানাস্থেসিয়া বিভাগের চিকিৎসক। মা অপর্ণা দত্ত গৃহবধূ। বাড়িতে আছেন দিদি সুষ্মিতা দত্ত।
জয়েন্ট এন্ট্রান্সে দ্বিতীয় স্থানাধিকারী সৌম্যজিৎ দত্ত বলেন, ‘‘এতো ভালো ফল আশা করিনি। তবে ১০০-র মধ্যে থাকার আশা করেছিলাম।’’ গল্পের বইয়ের পোকা সৌম্যজিৎ বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে চিকিৎসক নয়, ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় বলেই জানিয়েছেন।
অন্যদিকে রাজ্যের মধ্যে তৃতীয় স্থান অধিকার করল শান্তিপুর মিউনিসিপ্যাল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ব্রতীন মণ্ডল। নদীয়ার শান্তিপুর তেলিপাড়া মনসাতলার বাসিন্দা মণ্ডলের একমাত্র সন্তান ব্রতীন। ২০১৯ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৬৮৯ নম্বর পেয়ে রাজ্যের মধ্যে তৃতীয় হয়৷ উচ্চমাধ্যমিকে চারশো কুড়ি। ব্রতীনের বাবা এবং মা পেশায় স্কুল শিক্ষক। বরাবরই ব্রতীন মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিত ছিল। মাধ্যমিকের চূড়ান্ত সাফল্যের পর উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল ছিল নজরকাড়া। ব্রতীন অবশ্য জানিয়েছে, সে চিকিৎসক হতে চায়৷
এবারে ৯৯.০৫ শতাংশ পড়ুয়া পাস করেছে। আগামী সাতদিনের মধ্যেই শুরু হবে কাউন্সিলিং। দুইটি রাউন্ডে হবে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া। থাকবে এলোটমেন্ট রাউন্ড এবং আপগ্রেডেশন রাউন্ড। ১৩ অগাস্ট থেকে ১১ সেপ্টেম্বর এর মধ্যেই শেষ হবে কাউন্সিলিং।