আজ শান্তি পেল মা, শিক্ষিকা মায়ের মতো শিক্ষক হতে চায় মাধ্যমিকে প্রথম অরিত্র

আজ শান্তি পেল মা, শিক্ষিকা মায়ের মতো শিক্ষক হতে চায় মাধ্যমিকে প্রথম অরিত্র

কলকাতা: পরীক্ষার ১৩৯ দিন পর প্রকাশিত হল মাধ্যমিকের ফলাফল৷ এই বছর পরীক্ষা দিয়েছিল ১০ লক্ষ ৩ হাজার ৬৬৬ জন প্রার্থী৷ মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় জেলার জয়জয়কার৷ এ বছরও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সাফল্যের হার সর্বাধিক৷ এবছর মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছে অরিত্র পাল৷ মেমারি বিদ্যাসাগর মেমোরিয়াল স্কুলের ছাত্র অরিত্রের প্রাপ্ত নম্বর ৭০০-র মধ্যে ৬৯৪ (৯৯.১৪%)৷ প্রথম ১ থেকে ১০-এর মধ্যে থাকব আশা করেছিলাম৷ ভবিষ্যতে অঙ্ক বা রসায়ন নিয়ে গবেষণা করতে চাই৷ জানিয়েছে মাধ্যমিকে প্রথম অরিত্র৷

এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে বর্ধমানের অরিত্র৷ এই সাফল্য প্রসঙ্গে কী বলেছেন অরিত্রা? জানিয়েছেন, ‘‘আমি বলতে পারছি না৷ আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি, যে আমি প্রথম হয়েছি৷ পরে বুঝতে পারলাম৷ আমি প্রথম হব, সেটা প্রত্যাশা ছিল না৷ তবে, এক থেকে দশের মধ্যে থাকতে পারি বলে আশা করেছিলাম৷ আমার এই সাফল্যের পেছনে স্কুলশিক্ষকদের অবদান অনস্বীকার্য৷ আমার পরিবারের তরফ ছিল পূর্ণ সহযোগিতা৷ আমার মা প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা৷ ছোটবেলা থেকে মা আমাকে পড়িয়ে আসছে৷ মা একবার বুঝিয়ে দিলে আর ভুল হয় না৷ মা ছাড়া এত ভালো কেউ আমাকে বোঝাতে পারতাম না৷ মায়ের ইচ্ছা ছিল, আমি মাধ্যমিকে ব়্যাঙ্ক করব৷ আজ মায়ের শান্তি৷ মা শান্তি পেয়ে গেল৷ মায়ের আজ সেই আশা পূর্ণ হল৷’’

মাধ্যমিকে প্রথম অরিত্র
শিক্ষিকা মায়ের সঙ্গে মাধ্যমিকে প্রথম অরিত্র পাল

 

মাধ্যমিকের সফল হওয়ার পর পরবর্তী পরিকল্পনা কিংবা প্রস্তুতি কেমন ছিল? এই প্রসঙ্গে অরিত্রা পাল জানিয়েছেন, ‘‘আমি প্রায় আট বছর ধরে ছবি আঁকছি৷ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য কিছুদিন বন্ধ রেখেছিলাম৷ সকালে উঠে কোচিং ক্লাসে যেতাম৷ বাড়িতে এসে যেতাম স্কুলে৷ স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে যেতাম টিউশনে৷ রাতে এসে পড়তাম৷ রাত ৮ টা থেকে ১১টা পর্যন্ত পড়তাম, কখনও কখনও রাত একটা-দেড়টা পর্যন্ত পড়তাম৷’’ পরবর্তী লক্ষ্য প্রসঙ্গে অরিত্র জানিয়েছেন, ‘‘আমার ইচ্ছা গবেষণা করা৷ অঙ্ক বা রসায়ন নিয়ে গবেষণা করতে চাই৷ স্কুল শিক্ষক হতে চাই৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × two =