বিলাসপুর: স্কুলের গন্ডি কোনদিন মাড়াননি তিনি৷ আদ্যোপান্ত নিরক্ষর৷ তাতে কী হয়েছে৷ নেতা হতে গেলে কি আর পুঁথিগত শিক্ষার প্রয়োজন হয়? লাগে শুধু জনতার বিপুল সমর্থন৷ সেই জনতার সমর্থন নিয়ে শিল্পমন্ত্রী হওয়া কংগ্রেস নেতা এবার স্কুল পড়ুয়াদের পরামর্শ দিলেন, কীভাবে বড় নেতা হওয়া যায়! নেতা হওয়ার গোপন রহস্য ফাঁস করে বিতর্কে জড়ালেন ছত্রিশগড়ের শিল্পমন্ত্রী কাওয়াসি লাখমা৷
সোমবার একটি স্কুলের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন ছত্রিশগড়ের শিল্পমন্ত্রী৷ সেখানে পড়ুয়াদের পাশে বসে খোশমেজাজে গল্প করতে শুরু করেন তিনি৷ আচমকাই পড়ুয়াদের মধ্যে থেকে প্রশ্ন উঠে আসে, ‘‘স্যার, আমরা আপনার মতো কীভাবে বড় নেতা হতে পারি?’’ পুড়ুয়াদের মুখের এহেন প্রশ্ন শুনে লুফে নেন মন্ত্রী৷ সটান উত্তর দিতে শুরু করেন৷ কিন্তু, সেখানেই বিতর্ক বাঁধিয়ে বসেন এই কংগ্রেস নেতা নেতা৷
পড়ুয়াদের উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী জানান, ‘‘এর আগেও আমাকে একজন জিজ্ঞাসা করেছিলেন, আমি কীভাবে এত বড় নেতা হলাম? আমি কী এমন করলাম, যে রাজনীতিতে এত গুরুত্ব পেয়ে গেলাম? আমি তাঁকে খুব সহজেই বুঝিয়ে বললাম, নেতা হতে গেলে প্রথমে জেলাশাসক ও পরে পুলিশ সুপারদের কলার চেপে ধরতে হয়৷ এই সমস্ত আধিকারিকদের কীভাবে টাইট দিতে হবে, তা জানতে প্রথমে জানতে হবে৷ আর তা না হলে রাজনীতিতে বড় নেতা হওয়া যায় না৷’’
মন্ত্রীর মুখ থেকে এহেন বাণী শুনে হাসিতে ফেটে পড়ে পড়ুয়ারা৷ মন্ত্রী মশাইয়ের এখানে বার্তা ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে৷ মন্ত্রীর এই মন্তব্য ঘিরে সোশ্যাল দুনিয়ায় সমালোচনার ঝড় শুরু হতেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেন মন্ত্রী৷ পরে জানান, তাঁর যে মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে তা তিনি ওভাবে বলতে চাননি৷ আসলে তিনি বলতে চেয়েছেন, রাজনীতি করতে হলে লড়াই জারি রাখা জরুরি৷ রাজনীতি করতে হলে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে লড়াই করার বার্তায় তিনি নাকি দিতে চেয়ে ছিলেন৷
সুকমার কোন্টা বিধানসভা কেন্দ্রের ৫ বারের বিধায়কের এই মন্তব্যের পাল্টা কটাক্ষ করেছে বিজেপি৷ জানানো হয়েছে, এটাই কংগ্রেসের প্রকৃত সংস্কৃতি৷ কারণ যে মন্ত্রী শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে শপথবাক্য ঠিকঠাক পাঠ করতে পারেন না, তিনি কি না পড়ুয়াদের পরামর্শ দিচ্ছেন৷ তাও আবার সিংসা ছড়ানোর মতো মন্তব্য৷ মন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলেছে বিজেপি৷