কলকাতা: ভোটের প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে গিয়েছে। তার সঙ্গে চলছে উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা দেখা। এই সাঁড়াশি চাপের মধ্যে আবার গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো সামেটিভ পরীক্ষার চাপে পড়লেন শিক্ষকরা। সমগ্র শিক্ষা অভিযানের রাজ্য প্রকল্প অধিকর্তার অফিস থেকে বলা হয়েছে, এপ্রিলের প্রথম থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে প্রথম সামেটিভ পরীক্ষা সেরে ফেলতে হবে। শুধু তাই নয়, ফলপ্রকাশ করে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট তাদের কাছে পাঠিয়ে দিতে হবে ২৪ এপ্রিলের মধ্যে।
গত দু’বছরে ধাপে ধাপে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে সিবিসিএস পদ্ধতিতে পঠনপাঠন এবং পরীক্ষাগ্রহণ শুরু হয়েছে। এর ফলে পরীক্ষার সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। কমেছে সিলেবাস শেষ করার সময়। কিন্তু শিক্ষার অধিকার আইন মেনে স্কুলের ক্ষেত্রে ষাণ্মাসিক এবং বার্ষিক পরীক্ষা উঠে গিয়ে বেশ কয়েক বছর আগেই চালু হয়ে গিয়েছে নিবিড় নিরবচ্ছিন্ন মূল্যায়ন (সিসিই)। স্কুলে শিক্ষাদিবস বেশি হওয়ায় এবং সিলেবাসের বহর কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে কম হওয়ায় সমস্যাটা বড় হয়ে দেখা দিচ্ছিল না। কিন্তু স্কুলশিক্ষা ক্ষেত্রে বিগত কয়েক বছরে বেশ কিছু বড় পরিবর্তন এসেছে। এখন মিড ডে মিল থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকল্পে শিক্ষক এবং প্রধান শিক্ষকদের ভূমিকা বড় হয়ে উঠেছে। তাঁদের সে সব কাজে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বিভিন্ন তথ্য জোগাড় করে রিপোর্ট তৈরি করে পাঠানো, পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া প্রভৃতি কাজের মধ্যে যুক্ত হয়ে শিক্ষাদানের বিষয়টি অনেক সময়ই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তার উপর এখন এসেছে ত্রিমুখী চাপ। এতে চোখেমুখে অন্ধকার দেখছেন শিক্ষকরা।