কলকাতা: গরমের ছুটি এবং ইদের ছুটি। এই দুয়ের জন্য আপাতত বন্ধ টিভিতে স্কুলের ক্লাস। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য ক্লাস চলছিল একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে৷ অন্য ক্লাসগুলি চলছিল ওপর একটি টিভি চ্যানেলে। স্কুলের অভিজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকারা ক্লাস নিচ্ছিলেন। আপাতত তা বিনা নোটিসে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের ভার্চুয়াল ক্লাস বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ বেশ কিছু দিন পর আজ বুধবার টিভিতে ‘জুনিয়র ক্লাসরুম’ নেওয়ার হলেও মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য ক্লাসের কোনও নামগন্ধ পাওয়া যায়নি৷ সূত্রের খবর, ১০ জুন পর্যন্ত ওই ক্লাস স্থগিত রাখা হয়েছে।
যা খবর, ১০ জুন পর্যন্ত রাজ্যের স্কুল গুলিতে ছুটি রয়েছে। এক্ষেত্রে লকডাউনের চতুর্থ পর্যায় যদি ফের বর্ধিত হয়, তবে রাজ্য সরকার কি সিদ্ধান্ত নেবে তা দেখার। তবে, ক্লাস বন্ধ হওয়ার আগে কোনও সরকারি নির্দেশ আসেনি। ছাত্রছাত্রী অভিভাবকরা মেনে নিয়েছে যে গরমের ছুটি চলছে। শুধু টিভিতে নয়, বিভিন্ন স্কুলে হোয়াটস আপ গ্রূপের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়া শুরু করেছিল প্রধান শিক্ষকরা। যদিও বিষয়টি নিয়ে বোর্ডের কোনও অনুমদন ছিল না। কয়েকটি স্কুল, মাদ্রাসায় শিক্ষক শিক্ষিকাদের রীতিমত ভয় দেখিয়ে হোয়াটস আপ গ্রূপে ক্লাস করতে বাধ্য করেন প্রধান শিক্ষক এবং টিআইসি' রা।
কিন্তু, ওই হোয়াটস আপ গ্রূপ গুলিতে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি চোখে পড়েনি। যাঁরা ছিলেন তাদের পড়াশোনায় যে বিশেষ মন ছিল তা জোর বলা যায় না। সেই হোয়াটস আপের ক্লাসও আপাতত ১০ জুন পর্যন্ত বন্ধ।
আমফন ঘূর্ণিঝড় অনলাইন ক্লাসের দফারফা করেছে। বাংলার বিস্তীর্ণ এলাকায় এখনো ইন্টারনেট সংযোগ নেই। অনেক জায়গায় জল ও বিদ্যুতও নেই। অনেক ছাত্র ছাত্রীরা বাংলার শিক্ষা পোর্টালে পড়াশোনা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, ইন্টারনেট সংযোগ এত খারাপ, তাই তা সম্ভব হয়নি।
কলকাতা সহ দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া এবং পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন অংশে ইন্টারনেট নেই। বহু এলাকায় ফোনের যোগাযোগও অমিল। এমনকী, এই সব জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় শনিবারও বিদ্যুৎ পরিষেবা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে অনলাইন ক্লাস। কবে এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, কেউ বলতে পারছেন না।