বেহাল বৃত্তিমূলক শিক্ষা, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে পথে নামার ডাক

শিলিগুড়ি: বেতন বৃদ্ধি সহ একগুচ্ছ সমস্যা সমাধানে এবার মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইলেন ভোকেশনাল শিক্ষক ও প্রশিক্ষকদের একাংশ৷ দীর্ঘ দিনের বঞ্চনার প্রতিবাদ জানিয়ে এবার উত্তরকন্যার অভিযান ও মুখ্যমন্ত্রীকে ডেপুটেশন কর্মসূচির ঘোষণা ভোকেশনাল শিক্ষক প্রশিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের একাংশ৷ তাঁদের দাবি, পার্টটাইম প্রথা তুলে দিয়ে যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন কাঠামো তৈরি করুক রাজ্য সরকার৷ চুক্তিভিত্তিক প্রথা তুলে শিক্ষক ও

বেহাল বৃত্তিমূলক শিক্ষা, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে পথে নামার ডাক

শিলিগুড়ি: বেতন বৃদ্ধি সহ একগুচ্ছ সমস্যা সমাধানে এবার মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইলেন ভোকেশনাল শিক্ষক ও প্রশিক্ষকদের একাংশ৷ দীর্ঘ দিনের বঞ্চনার প্রতিবাদ জানিয়ে এবার উত্তরকন্যার অভিযান ও মুখ্যমন্ত্রীকে ডেপুটেশন কর্মসূচির ঘোষণা ভোকেশনাল শিক্ষক প্রশিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের একাংশ৷

তাঁদের দাবি, পার্টটাইম প্রথা তুলে দিয়ে যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন কাঠামো তৈরি করুক রাজ্য সরকার৷ চুক্তিভিত্তিক প্রথা তুলে শিক্ষক ও প্রশিক্ষকদের যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন কাঠামো তৈরি, শিক্ষক ও প্রশিক্ষকদের পদ গঠন, ছ’মাসের স্বল্প মেয়াদী প্রশিক্ষণের কোর্সগুলির মানোন্নয়ন করে এক বছরের কোর্সে রূপান্তর করা৷ শিক্ষক  ও  প্রশিক্ষকদের প্রভিডেন্টফান্ড, ছুটি ও অবসরকালীন সুযোগ দেওয়া৷ শিক্ষক ও  প্রশিক্ষক নিয়োগ চালু করা৷

ভোকেশনাল শিক্ষক প্রশিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের তরফে দিলওয়ার হোসেন জানিয়েছেন, ‘‘আমরা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা শিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়ন পর্ষদের বৃত্তিমূলক বিভাগের উচ্চ মাধ্যমিক ও স্বল্প মেয়াদী প্রশিক্ষণের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষক ও প্রশিক্ষক৷ আমরা আমাদের দাবি নিয়ে আগামী মঙ্গলবার উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দিয়েছে৷ উত্তরকন্যার প্রশাসনিক আধিকারকদের মাধ্যমে আমরা আমাদের দাবি দাওয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিতে চাই৷’’

বর্তমান সরকার আসার পরেই ২ হাজার ৮০০ বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ৷ স্কুল সার্ভিস কমিশনের ধাঁচে রাজ্যভিত্তিক নিয়োগ সংস্থা ও আইন প্রণয়ন করে শিক্ষক নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা কার্যকর হয়নি৷ আট বছর কেটে গেলেও নিয়োগ তো দূর বেতন সমস্যা সহ শিক্ষকের অভাবে ধুঁকছে একাধিক প্রতিষ্ঠান৷ স্কুলে শিক্ষকের অভাবে ছাত্রভর্তি তলানিতে৷ বৃত্তিমূলক শিক্ষার উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে এক একটি স্কুলে ৪০-৪৫ জন ছাত্রছাত্রী পড়ত, সেখানে এখন পড়ছে ১০ জনের কম৷ চার বছর আগে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার বৃত্তিমূলক শাখায় পাঠ্যক্রমের আমূল বদল করা হলেও সেই বিষয় পড়ানোর শিক্ষক নেই৷ সরকার বদলে ৪ জন মন্ত্রী পরিবর্তন হয়ে গেলেও অবস্থার হেরফের হয়নি৷ বদলায়নি বেতন কাঠামো৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × three =