নাগপুর: নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়ার বিরুদ্ধে অনলাইন পরীক্ষায় কারসাজির পদ্ধতি জানিয়ে একাধিক ভিডিও তৈরির অভিযোগ উঠল। নেটমাধ্যমে ওই ভিডিওগুলি ভাইরালও হয়ে গিয়েছে৷ আর তারপরই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা বিভাগের তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে করে এই অভিযোগের কথা জানানো হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়েই স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়-সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় অনলাইনেই পড়াশোনা বা পরীক্ষা হচ্ছে। রাষ্ট্রসন্ত তুকাদোজি মহারাজ তথা নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে প্রথম বার অনলাইনে পরীক্ষা হয়। আর সেই পরীক্ষাতেই এক পড়ুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ব্যবস্থা সংক্রান্ত সার্ভার হ্যাক করেন বলে অভিযোগ৷ এপ্রিল মাসে অনলাইন পরীক্ষা চলাকালীন কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে একটি স্ক্রিন রেকর্ডারের মাধ্যমে তাঁর কম্পিউটারের সাহায্যে বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে কাজ করেছেন বলে অভিযোগ৷ সেই ভিডিওগুলি ভাইরালও হয়েছে৷ অভিযুক্ত পড়ুয়ার আরও দাবি করেন, নানা ভাবে একই প্রশ্ন একাধিক বার তাঁর কাছে এসেছে, যার ফলে তিনি বিভিন্ন উপায়ে অতিরিক্ত ৪ নম্বর পাওয়া ছাড়াও পরীক্ষার সময় শেষ হয়ে আসার টিক আগে টাইম ল্যাপস পদ্ধতিতে অতিরিক্ত ৫০ মিনিটও নিয়েছেন। এ সব তিনি কীভাবে করেছেন, তার কারসাজি ভিডিওগুলিতে দেখিয়েছেন বলে অভিযোগ। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে দাবি করা হয়েছে, এপ্রিলে যে অনলাইন পরীক্ষায় হ্যাকিংয়ের দাবি করেছেন ওই পড়ুয়া, সেটা ‘মক টেস্ট’ ছিল।
গত বছরের অক্টোবর-নভেম্বর মাসেও নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন পরীক্ষাতে বিবিধ প্রযুক্তিগত ত্রুটি হয়েছিল বলে অভিযোগ তোলেন শিক্ষার্থীরা। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পরীক্ষা শেষ করার জন্য অনলাইন পরীক্ষা চলাকালীন একটি সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে পড়ুয়াদের কম্পিউটার স্ক্রিন লক করে দেওয়া হয়। এছাড়া, একটি অ্যাপের সাহায্যে নজরদারি চলানো হয়। তবে ওই অ্যাপের নজরদারি এড়িয়ে সার্চ ইঞ্জিনে প্রশ্নপত্রের উত্তর পাওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে ভাইরাল ভিডিয়োগুলিতে অনেক পরীক্ষার্থীই প্রশ্ন করেছেন৷