কঠোর পরিশ্রম ধরা দিয়েছে সাফল্যে, সিভিল সার্ভিসে মেয়েদের মধ্যে প্রথম প্রতিভা

কঠোর পরিশ্রম ধরা দিয়েছে সাফল্যে, সিভিল সার্ভিসে মেয়েদের মধ্যে প্রথম প্রতিভা

 

লখনউ: মঙ্গলবার প্রকাশিত হয় ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (ইউপিএসসি)-২০১৯ সালের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার ফল৷ এই পরীক্ষায় প্রথম স্থানে রয়েছেন হরিয়ানার সোনীপতের প্রদীপ সিং৷ দ্বিতীয় যতীন কিশোর আর তৃতীয় স্থানে রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মেয়ে প্রতিভা বর্মা৷ সিভিল সার্ভিসে মেয়েদের মধ্যে তিনিই প্রথম৷ নিজের এই সাফল্যে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত প্রতিভা৷ 

আরও পড়ুন- আজ আযোধ্যায় মেগা শিলান্যাস, বিশাল তাবু, এলসিডি স্ক্রিন, সুরক্ষা বলয়ে রাম-দুর্গ

সিভিল সার্ভিসের রেজাল্ট দেখার পর প্রতিভা বলেন, ‘‘অসাধারণ অনুভূতি৷ একই সঙ্গে আমি বাকরুদ্ধ৷ এদিন দুপুরে যখন ইউপিএসসি’র ফল দেখি, তখন বিশ্বাস করতে পারিনি৷’’ সিভিল সার্ভিসে ৮২৯ জন সফল প্রার্থীর মধ্যে প্রথম স্থানাধিকারী ২৯ বছরের প্রদীপ সিং ২০১৮ সালে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় ২৬০ ব়্যাঙ্ক নিয়ে ইন্ডিয়ান রেভেনিউ সার্ভিসে (আইআরএস) যোগ দিয়েছিলেন৷ প্রতিভা বর্মাও একজন কর্মরত আইআরএস অফিসার৷ পরীক্ষার আগে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে নিজেকে তৈরি করেছিলেন প্রতিভা৷ ছোট থেকেই আইএএস অফিসার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি৷ এদিন পরীক্ষার ফল দেখার পর অত্যন্ত উত্তেজিত প্রতিভা৷

আরও পড়ুন- গাছ বাঁচাতে গ্লুকোজের বোতল! নয়া কৌশলে চাষ করছেন এই কৃষক

তিনি বলেন, ‘‘এর আগেও সিভিল সার্ভিসে প্রথম স্থান ছিনিয়ে নিয়েছে মেয়েরা৷ ২০১৬ সালে প্রথম হয়েছিলেন টিনা ডাবি৷ তবে আমি আমার সাফল্যে খুশি৷ পরীক্ষার ফল যে ভালো ফল হবে, সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত ছিলাম৷ কিন্তু অল ইন্ডিয়া থার্ড ব়্যাঙ্ক পাব, তা ভাবতে পারিনি৷ এটা অভাবনীয়৷’’ প্রতিভার সাফল্যের খবর প্রকাশিত হতেই শুভেচ্ছা বার্তায় ভেসে যান তিনি৷ তবে ফলাফল প্রকাশের খবরটি প্রতিভাকে প্রথম জানিয়েছিলেন আইআরএস-এ তাঁরই এক সহকর্মী৷ এর পরেই ওয়েবসাইটে রেজাল্ট চেক করেন তিনি৷ 

আরও পড়ুন- রাম মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তরের উপর ভোট রাজনীতির সমীকরণ কষছে গেরুয়া শিবির

২০১৪ সালে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি-দিল্লি (আইআইটি-দিল্লি) থেকে স্নাতক ডিগ্রি পান প্রতিভা৷ স্নাতন পাশ করার পর কাজের অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের জন্য একটি বেসরকারি সংস্থায় দুই বছর চাকরি করেন তিনি৷ কিন্তু লক্ষ্য ছিল সিভিল সার্ভিস৷ প্রতিভা বলেন, ‘‘আমি প্রথম থেকেই সিভিল সার্ভেন্ট হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি৷ সেই স্বপ্ন পূরণ করতেই ইউপিএসসি-র জন্য নিজেকে তৈরি করতে শুরু করি৷ গত বছর আমার ব়্যাঙ্ক ছিল ৪৮৯৷ এর পরেই নিজের ভুলগুলো বুঝতে পারি৷ নিজের দুর্বলতাগুলোকে শুধরে নিতে শুরু হয় আরও বেশি কঠোর পরিশ্রম৷ পুরনো অভিজ্ঞতাও আমাকে অনেকখানি সাহায্য করেছে৷’’ উত্তরপ্রদেশে মেয়েদের উন্নয়ন ও শিশু সুরক্ষা নিয়ে কাজ করতে চান প্রতিভা৷ তিনি জানান, তাঁর সাফল্যের পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান রয়েছে তাঁর বাবা-মায়ের৷ তাঁরা বাবা সুভাষ বর্মা কয়েক মাস আগেই অবসর নিয়েছেন৷ ইংরেজির অধ্যাপক ছিলেন তিনি৷ তাঁর মা সুলতানপুর সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা৷ প্রতিভার দিদি একজন চিকিৎসক৷ দুই ভাইও রয়েছে তাঁর৷ তাঁদের মধ্যে একজন বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত৷ আর ছোট ভাই এখনও পড়াশোনা করছেন৷ তবে করোনা পরিস্থিতিতে  সাফল্য উদযাপনের তেমন কোনও পরিকল্পনা নেই প্রতিভার৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *