বহরমপুর: নবাবের দুর্গে ঐতিহ্যবাহী কলেজের অবলুপ্তি ঘটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবার সরব শিক্ষক সমাজ৷ গোটা মুর্শিদাবাদজুড়ে এই নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক৷ চলছে প্রচার৷ ডাকা হয়েছে আলোচনা সভা৷ রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই গর্জে উঠেছেন স্থানীয় শিক্ষা মহলের একাংশ৷
মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১৮ মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী কৃষ্ণনাথ কলেজের অবলুপ্তির ঘটনায় ঘিরে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছে৷ অভিযোগ, কৃষ্ণনাথ কলেজের অবলুপ্তি ঘটিয়ে মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে৷ আর তাতেই ক্ষুন্ন হবে কৃষ্ণনাথ কলেজের অস্তিত্ব৷ মূলত এই আশঙ্কা প্রকাশ করে আগামী শনিবার বহরমপুর পুরানো থানার পাশে জমায়েতের ডাক দিয়েছে ইউনাইটেড ফোরাম অফ ইউনিভার্সিটি ইন মুর্শিদাবাদের সদস্যরা৷ চলছে প্রচার৷ কৃষ্ণনাথ কলেজের অবলুপ্তির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন শিক্ষকদের একাংশ৷
এই বিষয়ে মুর্শিদাবাদের শিক্ষক নেতা তন্ময় ঘোষ বলেন, ‘‘কৃষ্ণনাথ কলেজকে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে৷ মুর্শিদাবাদবাসী কোনও ভাবেই এটা মেনে নেবে না৷ বহরমপুরে কৃষ্ণনাথ কলেজ ইতিহাস খ্যাত৷ স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে বাংলার এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিপ্লবীরা পঠনপাঠন করতেন৷ বর্তমানে জনবহুল মুর্শিদাবাদ জেলার অন্যতম একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই কলেজ৷ বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির নামে ইতিহাসখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অবলুপ্ত করে সেই স্থানে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা কোনও ভাবে মেনে নেওয়া যায় না৷ মুর্শিদাবাদের জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন ৩ জন সাংসদ৷ বিধানসভায় প্রতিনিধিত্ব করেন ২২ জন বিধায়ক৷ কিন্তু, দুর্ভাগ্যের বিষয়, ভোটে জিতে কেউ আর মুর্শিদাবাদে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির ব্যাপারে চেষ্টা করেন না৷ মুখ্যমন্ত্রী মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির কাজ সেভাবে এগোয়নি৷ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদ জেলায় কৃষ্ণনাথ কলেজকে অক্ষত রেখে অতিদ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের কাজ শেষ করার ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ করা উচিত৷’’