আজ বিকেল: যে সব মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ২০১৩-র মধ্যে শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য তদ্বির করেছে একমাত্র সেই সব মাদ্রাসাই ২০১৪-র প্যানেল থেকে শিক্ষক পাবে ও শূন্যপদ পূরণ হবে। অন্যদিকে পরবর্তিতে যেসব মাদ্রাসা থেকে শিক্ষক নিয়োগের আবেদন এসেছে তা এই সময় গ্রাহ্য হবে না।
কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পরে একটা জিনিস স্পষ্ট হল যে ২০১৫-র পর থেকে যেসব মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের আবেদন করেছে সেসব জায়গায় নিয়োগ প্রক্রিয়া একপ্রকার বন্ধ হয়ে গেল। সুপ্রিম কোর্ট থেকে ছাড়পত্র না এলে এ সমস্যার সমাধান হওয়ার নয়।মূলত কমিশনই এই বিষয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবে। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা করে কমিশন। সেই মামালর নিষ্পত্তিতেই বিষয়টি সামনে আসে। সরকারি আধিকারিকের ভুলেই যে তথ্য বিকৃতি হয়েছে তা স্পষ্ট হয়ে যায়। ওই আধিকারিক এদিন তিরস্কারও করে আদালত।
এই ঘটনার পর নতুন শিক্ষকের অনুমোদনহীন মাদ্রাসাগুলি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। জানা গিয়েছে কমিশনের ভুলেই মাদ্রাসা গুলির শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিা থমকে গিয়েছিল। কোনও এক সরকারি কর্তা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভুল ব্যাখ্যা করাতেই এই বিপত্তি। রায়ে জানানো হয়েছিল, শূন্যপদে নিয়োগের জন্য যে মাদ্রাসাই আবেদন করুক না কেন প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে শিক্ষক নিয়োগের ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
ভুল বোঝেননি শুধু নয়, আইন বোঝেন না ওই সরকারি কর্তা। আদালত এদিন ওই সরকারি আধিকারিককে তিরস্কারও করেন। হাইকোর্টে মামলার চ্যালেঞ্জ হতেই জানা যায় আসল গল্প। তখনই প্রকাশ্যে আসে যে রায়ে ২০১৫-র পরবর্তি সময়ের শিক্ষক নিয়োগের আবেদন পূর্ণ হবে না। তার আগে সব মাদ্রাসারই শূন্যপদ পূরণ হবে।