নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের জেরে স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়, বন্ধ রয়েছে পঠনপাঠন৷ কবে থেকে শিক্ষাবর্ষ শুরু হবে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন শিক্ষামহল৷ এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে জুলাই মাসের বদলে সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাবর্ষ শুরু করার প্রস্তাব করল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)৷
করোনাভাইরাস পেন্ডামিকের জেরে দেশজুড়ে জারি লকডাউন৷ এর ফলে একাডেমিক ক্ষতি এবং অনলাইন পড়াশোনার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে দুটি কমিটি গঠন করে ইউজিসি৷ এই দুই কমিটি সমস্যার সমাধানে তাদের প্রস্তাব দিয়েছে৷ লকডাউনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে কী ভাবে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা সম্ভব, তা খতিয়ে দেখে হরিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আরসি কুহাদের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি৷ বিকল্প শিক্ষা ক্যালেন্ডার তৈরির বিষয়টি নিয়েও কাজ করছেন তাঁরা৷ অপর একটি কমিটি ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল ওপেন ইউনিভর্সিটি (ইগনু)-র উপাচার্য নাগেশ্বর রাও-এর নেতৃত্বে কী ভাবে অনলাইনে পড়াশোনা আরও উন্নত করা যায়, সে বিষয়ে দেখাশোনা করছে৷ দুটি কমিটিই তাদের রিপোর্ট সাবমিট করেছে৷
সূত্রের খবর, অ্যাকাডেমিক সেশন জুলাই মাসের বদলে সেপ্টেম্বরে চালু করার সুপারিশ করেছে একটি প্যানেল৷ অপর একটি প্যানেলের প্রস্তাব, যেখানে সম্ভব, অনলাইনে পরীক্ষার ব্যবস্থা করুক বিশ্ববিদ্যালয়গুলি৷ যেখানে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই, সেখানে লকডাউন ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করা হোক৷ লকডাউন উঠলে কাগজে-কলমে পরীক্ষার জন্য তারিখ ঠিক করা হবে৷ কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের অধিকারিকদের কথায়, দুটি কমিটির রিপোর্টই খতিয়ে দেখে হবে৷ আগামী সপ্তাহের মধ্যে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ইউজিসি৷ তবে ইউজিসি-র যাবতীয় প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে, এমটা নয়৷ পরিস্থিতি ও গাইডলাইন মেনেই এগোন হবে৷
আপাতত জুনেই নিট এবং জেইই-র মতো প্রবেশিকা পরীক্ষাগুলি নেওয়া হবে বলে পরিকল্পনা রয়েছে৷ তবে তার আগে গুরুত্বপূর্ণ হল কোভিড-১৯ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা৷ পরিস্থিতি বিচার করেই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ গত ১৬ মার্চ থেকেই সারা দেশে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখা হয়েছে৷ স্থগিত হয়ে গিয়েছে একাধিক বোর্ড পরীক্ষা৷ ২৪ মার্চ জারি হয় লকডাউন৷ বর্ধিত লকডাউ চলবে ৩ মে পর্যন্ত৷