নয়াদিল্লি: বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)-এর নয়া নির্দেশিকা ছাত্রছাত্রীদের ‘অক্সিজেন’ জোগাল বলে মন্তব্য করলেন জেএনইউ-র উপাচার্য এম জগদীশ কুমার৷ লকডাউন পরবর্তী সময়ে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ইউজিসি’র নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর মাস থেকে নতুন ছাত্রছাত্রীদের জন্য সেসন শুরু হবে৷ অগাস্ট মাস থেকে ক্লাস শুরু হবে পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের৷ অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডারের পাশাপাশি পরীক্ষার বিষয়েও নির্দেশিকা জারি করেছে ইউজিসি৷
করোনা পরিস্থিতিতে চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা এখনও শেষ হয়নি৷ সম্ভবত পরীক্ষা শেষ হবে জুনের শেষ দিকে৷ ফলপ্রকাশ হতে অগাস্ট হয়ে যাবে৷ ফলে নতুন ক্লাস শুরু হবে সেপ্টেম্বরের মধ্যে। অন্যদিকে, কোভিড-১৯ পেন্ডামিকে জারি নয়া অ্যাকাডেমির ক্যালেন্ডারে বলা হয়েছে ফাইনাল সেমিস্টারের পরীক্ষা হবে জুলাই মাসে৷ কুমার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার জন্য যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে তা অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত৷ তাঁর কথায়, পরিবর্তি পরিস্থিতিতে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা করেই এই প্রস্তাব এনেছে ইউজিসি৷
নয়া নির্দেশিকায় পঠন পাঠন চালিয়ে যাওয়ার জন্য টেকনোলজির উপর অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে৷ তবে এই ব্যবস্থা পরিচালনা করার উপযুক্ত পরিকাঠামো এই মুহূর্তে আমাদের দেশের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরই নেই। কিন্তু তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ছাত্রসমাজের সিংহভাগ এই ব্যয়বহুল পদ্ধতির সুযোগ গ্রহণ করতে অসমর্থ। সাম্প্রতিক সর্বভারতীয় বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, আর্থ-সামাজিক পরিকাঠামোর বিভেদের জেরে প্রায় ৮৫-৯০% ছাত্রছাত্রী অনলাইন পঠনপাঠনের বাইরেই থেকে গিয়েছে৷ ইউজিসির নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, এমফিল ও পিএইটডি ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে আরও ছয়মাস সময় দেওয়া হবে। ভাইভা হবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে।
গাইডলাইনে আরও বলা হয়েছে, অতিমারীজনিত কারণে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে ছাত্রদের নম্বর দেওয়া যেতে পারে ৫০% কলেজের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন এবং ৫০% পূর্ববর্তী সেমেস্টোরে প্রাপ্ত নম্বরের যোগফলের ভিত্তিতে। তবে স্থানীয় পরিস্থিতির ভিত্তিতে এই নির্দেশাবলী পরিবর্তনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির হাতে৷