নয়াদিল্লি: স্নাতক স্তরে পড়ুয়া সংখ্যার তুলনায় শিক্ষকের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)৷ একাধিক বিভাগে পড়ুয়ার তুলনায় শিক্ষকের সংখ্যা কম করা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে৷ ইউজিসি’র খসড়া প্রস্তাবনায় এই বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে৷ শুধু তাই নয়, পেশাগত শিক্ষার ক্ষেত্রে চুক্তির ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে৷ ইউজিসি’র এই প্রস্তাবনায় অনেকেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে৷ ছাঁটাইয়ের আশঙ্কায় ভুগছেন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা৷
আরও পড়ুন- স্কুল বন্ধ করা হোক, জনস্বার্থ মামলা খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট
এই বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনও নীতি না থাকলেও ২০০৮ সালে ইউপিএ সরকার ওবিসি-র জন্য ২৭ শতাংশ সংরক্ষণের নীতি চালু করার পরেই শিক্ষক-পড়ুয়া অনুপাত হয় ১:১৮। সেই অনুপাতেই সরকারি স্বীকৃতি মেলে৷ তার পর থেকে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-পডুয়ার এই অনুপাতেই চলে আসছে। কিন্তু এ বার সেই নিয়মেই বদল আনতে চলেছে ইউজিসি। জানা গিয়েছে, প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, সমাজবিদ্যায় শিক্ষক-পড়ুয়ার হার ১:৩০, বিজ্ঞানে ১:২৫ এবং বাণিজ্য বিভাগ এবং অন্যান্য বৃত্তিমূলক বিভাগে ১:৩০ করা হবে। তবে এই নিয়ম কার্যকর করার আগে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলির মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। ১১ ফেব্রুয়ারির মধ্য এই বিষয়ে তাদের মতামত জানাতে হবে৷ অনেকেই মনে করছেন, এর নিয়ম কার্যকর হলে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটবে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন মনে করছে, ‘‘এই নীতিতে ব্যাপক হারে শিক্ষক ছাঁটাই শুরু হবে৷ সেই সঙ্গে কমবে শিক্ষার মানও।’’
অন্যদিকে, খসড়া প্রস্তাবনায় গণমাধ্যম, ফার্মেসির জন্য শিক্ষক-পড়ুয়া অনুপাত ১:১৫, স্থাপত্য এবং ডিজাইন কোর্সের জন্য ১:১০ করা হয়েছে৷ সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, বৃত্তিমূলক পাঠ্যক্রমের জন্য পেশা বা শিল্পের সঙ্গে জড়িয় ব্যক্তিদের চুক্তিভিত্তিক বা অতিথি অধ্যাপক হিসাবে নিয়োগ করা হবে৷ এর ফলে শিক্ষকদের উপরেও চাপ বাড়বে৷