আজ বিকেল: কেন্দ্রীয় খসড়া র জের, ২০২২ সাল থেকে আর পার্শ্ব শিক্ষকদের পদটাই থাকবে না। তাই পার্শ্বশিক্ষকদের চাকরি থাকবে কি না তানিয়ে শুরু তরজা। এই শিক্ষানীতিতেই পার্শ্বশিক্ষকদের অবস্থান নিয়ে ওঠা প্রশ্নই সংশয়ের জায়গা তৈরি করেছে। এই বিষয় নিয়েই তৈরি হয়েছে ধন্দ। কেননা ২০০২২ সাল থেকে কী পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগ তুলে দেওয়া হবে, নাকি যাঁরা পার্শ্বশিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন তাদের রুটি রুজি পথে বসবে। এক্ষেত্রে ঠিক কোনটা ঘটতে চলেছে তানিয়েই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। আতঙ্কিত।
কেন্দ্রের দাবি এই চূড়ান্ত শিক্ষানীতি নয়, তবে সে আশায় বুক বাঁধতে রাজি নন এই রাজ্যের পার্শ্ব শিক্ষকরা। বর্তমানে এই রাজ্যে ৫০ হাজারেরও বেশি পার্শ্বশিক্ষক কাজ করছেন। বাম আমলেই তাঁরা নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন, তৃণমূল সরকারের আমলে কোনও পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগ হয়নি। কেন্দ্রীয় খসড়া শিক্ষানীতিতে শিক্ষকদের সমাজের সঙ্গে দৃঢ় বন্ধন গডে তোলার কথা বলা হয়েছে। তাতে কী পার্শ্বশিক্ষকদের স্থায়ীকরণ হবে কি হবে না তানিয়ে দোলাচালে রাজ্যের শিক্ষক মহল।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় খসড়া শিক্ষানীতিতে সাফ জানানো হয়েছে, শিক্ষাদাের বাইরে শিক্ষকদের দিয়ে অন্য কোনও কাজ করানো চলবে না। শুধুমাত্র ভোটগ্রহণ ছাড়া। মিডডেমিলের কাজ, স্বাস্থ্যসচেতনতা, পরিবার পরিকল্পনা সংক্রান্ত সমীক্ষার কাজ, আদমশুমারির কাজ এসব এতদিন স্কুলের শিক্ষকদের দিয়েই করানো হত। এবার থেকে তা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে। এসব কাজের জন্য আলাদা লোক নিয়োগ করবে শিক্ষাদপ্তর। উল্লেখ্য, স্কুলে শিক্ষকতার বাইরে এতসব কাজও করানোর জন্য বেজায় ক্ষুব্ধ ছিল শিক্ষকমহল। বিভিন্ন সময় এই ধরনের কাজ থেকে রেহাই পেতে শিক্ষাদপ্তর থেকে শুরু করে মানবসম্পদ উন্নয়ন দপ্তর সব জায়গাতেই শিক্ষকরা দবার করেছেন। কেন্দ্রীয় খসড়া শিক্ষানীতিতে সেই দরবারের বিষয়টি গুরুত্ব পাওয়াতে খুশি রাজ্যের শিক্ষক মহল।