কলকাতা: যত্ন করলে যে ফল মিলতে পারে এই মুহূর্তে হিমা দাসের সাফল্য তার বড় একটা উদাহরণ৷ তাই রাজ্যের ক্রীড়াঙ্গনকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তুলে ধরতে কোনো ত্রুটি রাখতে চাইছেনা রাজ্য সরকার৷ মজবুত করে তুলতে গ্রামাঞ্চলগুলির ওপর গুরুত্ব দিতে চাইছে রাজ্য সরকার৷
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের উদ্যোগে রাজ্যস্তরে যে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয় সেখান থেকেই গড়ে তোলা হবে মজবুত ভিত৷ তাই এই প্রথম প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিতে কর্মরত শিক্ষকদেরকেই কোচের দায়িত্বে নিযুক্ত করা হচ্ছে৷ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের উদ্যোগে রাজ্যের স্কুলগুলিকে নিয়ে রাজ্য স্তরে যে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয় তা শুরু হয় গ্রাম পঞ্চায়েত স্তর থেকেই৷ পঞ্চায়েতের প্রতিটি সার্কেল থেকে ব্লক স্তরে এরপর মহকুমা, জেলা হয়ে রাজ্য স্তরে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়৷
এই প্রতিটি স্তরে উত্তীর্ণ প্রতিযোগিদের বিশেষভাবে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন বলেই মনে করছে রাজ্য সরকার৷ তাই শিক্ষকদের মধ্যে যারা ক্রীড়া জগতের সঙ্গে যুক্ত বিশেষত যে শিক্ষকদের রাজ্য এবং জাতীয় স্তরে খেলাধুলার অভিজ্ঞতা আছে তাদেরকেই বেছে নেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষক হিসেবে৷ বুধবার থেকে শুরু হয়েছে প্রশিক্ষণ শিবির৷ মূলত অ্যাথলেটিক্স ও জিমন্যাস্টিক্সের প্রতিযোগিতা হয়৷ সেক্ষেত্রে এবিষয়ে প্রতিযোগিদের একটা ধারণা তৈরি হলেও খেলার টেকনিক্যাল দিকগুলি সম্পর্কে তাদের ধারণা ছিলনা বলেই মনে করছেন শিক্ষকরা৷ প্রস্তুতির জন্য যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷
আলাদা করে কোচ নিয়োগ করে এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার মত সুযোগ বা পরিকাঠামো কোনোটাই না থাকায় অভিজ্ঞ শিক্ষকদের বাছাই করে তাদের হাতেই প্রশিক্ষণের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে৷ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য পুরো পরিকল্পনাটি জানিয়েছেন৷ প্রথমে জাতীয় এমনকি আন্তর্জাতিক মানের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন শিক্ষকদের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেবেন ক্রীড়া বিশেষজ্ঞরা৷ তারপর এই শিক্ষকরাই নিজেদের মহকুমা ও জেলায় গিয়ে অন্যান্য ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেবেন৷
ইতিমধ্যেই রাজ্য স্তরে প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে থেকে প্রতিটি অঞ্চল ভিত্তিক এক লক্ষ টাকা অনুদান পাঠানো হয়েছে৷ নির্দেশিকায় বলা হয়েছে এই ক্রিড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের প্রতিটি অঞ্চল থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হবে৷ পর্ষদের নির্দেশিকা অনুযায়ী মোট ২৮ টি বিভাগে প্রতিটি খেলার ক্ষেত্রে আঞ্চলিক স্তরে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারিদের জন্য পুরস্কার, খেলার পোশাক, জুতো-মোজা থেকে শুরু করে যাবতীয় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ব্যবস্হা করতে হবে৷