আজ বিকেল: বেতন বৃদ্ধির দাবিতে এবার রাজ্যের কম্পিউটার শিক্ষকরা এবার মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন। গত কয়েক বছর ধরে চার হাজার ৭০০ টাকা বেতনের বিনিময়ে স্কুলের পড়ুয়াদের তাঁর কম্পিউটার শেখাচ্ছেন। অথচ সকলেই জানেন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের অনুদানের কল্যাণে তাঁদের এক একজনের সম্মান দক্ষিণা নেহাত কম নয়। যদিও সেসবের কানাকড়িও তাঁদের ভাগে জোটে না। সবটাই শুষে নেয় নিয়োগকারী ঠিকাদার সংস্থা। বার বার মিন্টোপার্কে এই ঠিকাদার সংস্থার অফিসে গিয়ে বিক্ষেভ দেখিয়েও কোনও লাভ হয়নি উল্টে অপমান মারধর পুলিশ দিয়ে হটিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা থেকে শুরু করে হাসপাতালে পর্যন্ত যেতে হয়েছে।
এদিকে লোকসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন ভোট মিটলে সমস্যার সুরাহা করবেন। তবে কথার কথা রয়েই গিয়েছে, শিক্ষামন্ত্রীও কোনওরকম যোগাযোগের চেষ্টা করেননি। তাই গত একমাস ধরে বিনা বেতনেই ক্লাস নিচ্ছেন কম্পিউটার শিক্ষকরা। তাঁরা ঠিকই করেছিলেন, সরকার যদি এই বিপদে পাশে না দাঁড়ায় তাহলে নিজেরাই নিজেদের পাশে দাঁড়াবেন। আর সম্মানহানি হতে দেবেন না। সেকারণেই ভিক্ষার ন্যয় পাওয়া বেতন নিতে গতমাসেই তাঁরা অস্বীকার করেন। একমাস ধরে বিনা বেতনে কাজ করে তাঁদের অবস্থা আরও করুণ। তাঁরাএবার গোটা বিষয়টিতে রাজ্যের হস্তক্ষেপ দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দিলেন।
কম্পিউটার শিক্ষকদের সরকারি আওতাভুক্ত করতে হবে। সিলেবাসে রাখতে হবে কম্পিউটার শিক্ষাকে। একই সঙ্গে কম্পিউটার শিক্ষকদের সাম্মানিক বেতনকে সম্মানজনক করতে হবে।