এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় গার্ড দেবেন পার্শ্বশিক্ষকরা, বিজ্ঞপ্তি পর্ষদের

এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় গার্ড দেবেন পার্শ্বশিক্ষকরা, বিজ্ঞপ্তি পর্ষদের

কলকাতা: বেতন না বাড়লেও এক যুগ পর শিক্ষা দপ্তরের বড়সড় স্বীকৃতি পেলেন রাজ্যের কয়েক হাজার পার্শ্বশিক্ষক৷ এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার পার্শ্ব শিক্ষকদের পরিদর্শক ভূমিকা পালনের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ৷ আজ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পার্শ্ব শিক্ষকদের দায়িত্ব কয়েক গুন বাড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে৷

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এবার মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্রে পরিদর্শক ভূমিকা পালন করতে পারবেন পার্শ্ব শিক্ষকরা৷ পরীক্ষা ব্যবস্থায় পার্শ্ব শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করাও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফে৷ পার্শ্ব শিক্ষকদের দিয়ে উত্তরপত্র দেখানো হবে কি না, তা অবশ্য কিছু জানানো হয়নি৷

তবে, নূন্যতম কোনও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা না করে পার্শ্ব শিক্ষকদের দিয়ে পরিদর্শকের কাজ করানোর বিজ্ঞপ্তি ঘিরে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন পূর্ণ সময়ের শিক্ষকদের একাংশ৷ কেননা, মাধ্যমিকের মতো  গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা শুরুর এক সপ্তাহের ব্যবধানে পার্শ্ব শিক্ষকদের উপর বাড়তি দায়িত্ব তুলে দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষকদের একাংশ৷

যদিও, দীর্ঘ দিন ধরে পার্শ্বশিক্ষকদের সংগঠনগুলি পরিদর্শকের কাজ পাওয়ার বিষয়ে সরব হয়ে আসছিলেন৷ মঙ্গলবার পর্ষদ থেকে তৃণমূলের পার্শ্বশিক্ষক সংগঠনের এই লিখিত আবেদন শিক্ষা দপ্তরে পাঠানো হয়৷  শিক্ষামন্ত্রীও সম্মতি দেন৷ তৃণমূলের পার্শ্বশিক্ষক সংগঠনের দাবি পেশের ২৪ ঘণ্টা ব্যবধানে পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি ঘিরেও তৈরি হয়েছে নয়া জল্পনা৷ ২০০৫ সালে সর্বশিক্ষা অভিযান প্রকল্পের মাধ্যমে পার্শ্বশিক্ষকরা নিযুক্ত করা হয়৷ শেষবার ২০০৬ ও ২০০৭ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় তাঁদের পরিদর্শকের দায়িত্ব দেওয়া হয়৷ তারপর থেকে আর পার্শ্ব শিক্ষকদের এই দায়িত্ব দেওয়া হয়নি৷

পর্ষদের এই বিজ্ঞপ্তি ঘিরে পার্শ্ব শিক্ষকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে৷ অনেকেই বলছেন, পর্ষদের এই বিজ্ঞপ্তি পার্শ্ব শিক্ষকদের নয়া স্বীকৃতি৷ অনেকেই বলছেন, কম বেতন দিয়ে পার্শ্ব শিক্ষকদের দিয়ে আর কী কী কাজ করিয়ে দেবে শিক্ষা দপ্তর? এমনিতেই স্কুলে স্থায়ী শিক্ষকদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ক্লাসের বাইরেও নানান প্রশাসনিক কাজ করে থাকেন তাঁরা৷ কিন্তু, নাম মাত্র বেতন দেওয়া হয় তাঁদের৷  বেতন না বাড়িয়ে একের পর এক কাজের চাপ বাড়িয়ে কি চাকরি ছাড়তে বাধ্য করানোর কৌশল নেওয়া হচ্ছে? প্রশ্ন পার্শ্ব শিক্ষকদের একাংশের৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *