আজ বিকেল: মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নের প্যাটার্ন এখন এতটাই সরলীকরণ হয়েছে যে একটু নিয়ম মেনে পড়লে পাশ কেন ভাল ফলাফলও করা তেমন পরিশ্রমের না। তাই ফেল করাটা বেশ কষ্টকর। কিন্তু এমন কিছু যদি দেখেন, পাশ দূরে থাক ড্য়াং ড্যাং করে ফেল করে গেলেন তখন তো লোকজন অপদার্থ বলবে। কিন্তু মুশকিল হল যে ছাত্র বা ছাত্রী মাধ্যমিকে অকৃতকার্য হল সে শুধু ফেল নয় বেশ কয়েকটি বিষয়ে শূন্য পেয়েছে। স্কুলের শিক্ষকদের দাবি ওই পড়ুয়া পড়াশোনায় বেশ ভাল, আন্তরিকও। প্রচুর নম্বর নিয়ে তাক লাগানো রেজাল্ট না করলেও ভাল ফল তার থেকে আশা করাই যায়। কিন্তু তাই বলে ফেল? এটা ভাবাও যাচ্ছে না। আপনি আমি ভাবতে না পারলেও বাস্তবটা বদলে যাচ্ছে না। এমনটাই ঘটেছে মুর্শিদাবাদের মাধ্যমিকের পড়ুয়া তমালিকা বাগের সঙ্গে।
তমালিকা স্থানীয় কোলা গার্লস স্কুলের ছাত্রী। ২০১৮-তে সে প্রথম মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। ফল প্রকাশ হলে দেখা যায় দুএকটি বিষয় ছাড়া বাকি সবকটিতেই সে শূন্য পেয়েছে। এই ঘটনায় ভীষণভাবে ভেঙে পড়ে ওই ছাত্রী। পরের বছরও একইভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসে। বলা বাহুল্ষ কয়েকদিন আগেই মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হয়েছে। এবার শুভক্ষণের আশা করেছিল তমালিকা ও তার পরিবার। কিন্তু ভাগ্যদেবী সুপ্রসন্ন হননি, এবারেও একই ভাবে কয়েকটি বিষয়ে সে শূন্য পেয়েছে। সমস্ত লিকে এসেও কেন নির্দিষ্ট কয়েকটি বিষয়ে ওই ছাত্রী শূন্য পাচ্ছে তা স্পষ্ট নয়। এবার তমালিকার মানসিক পরিস্থিতি বেশ খারাপ। গৃহশিক্ষক বাবারও আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরেছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরিকাঠামোর উপরে তিনি আর ভরসা রাখতে পারছেন না। একটাই দাবি, যেভাবেই হোক মেয়ের উত্তরপত্র প্রকাশ্যে আসুক কীকারণে এমনটা ঘটছে তা তাঁদের জানাক পর্ষদ।
এই প্রসঙ্গে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে মুর্শিদাবাদের বিশিষ্ট শিক্ষক ও শিক্ষা আন্দোলনের নেতা তন্ময় ঘোষ বলেন, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের উচিত রেজাল্ট বের করার আগে সঠিক ভাবে খাতা দেখা ও মূল্যায়ন করা।এখন ওই ছাত্রী যদি কোনও অঘটন ঘটিয়ে ফেলে তবে তার দায় কে নেবে! তমালিকার খাতার পূর্নমূল্যায়ণের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।