চূড়ান্ত অনটন, বারুদের গন্ধে বেড়ে ওঠা কাশ্মীরি কন্যার অনন্য সাফল্য

শ্রীনগর: একদিকে চূড়ান্ত আর্থিক অনটন৷ অন্যদিকে ভূস্বর্গের রাজনৈতিক টানাপোড়েন৷ জোড়া প্রতিকূলতাকে হারিয়ে এবার সর্বভারতীয় ডাক্তারি পরীক্ষায় সাফল্য ছিনিয়ে এনে নজির গড়লেন বছর ১৭ কিশোরী ইরম শামিম৷ অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সাইন্সের প্রবেশিকা পরীক্ষায় ৯২ শতাংশ নম্বর পেয়ে মেধা তালিকার শীর্ষে কাশ্মীরি এই কন্যা৷ আগামী মাসেই পাটনার এইমসে পড়াশোনার সুযোগ পেলেন এই কাশ্মীরি কিশোরী৷ ইতিমধ্যেই

চূড়ান্ত অনটন, বারুদের গন্ধে বেড়ে ওঠা কাশ্মীরি কন্যার অনন্য সাফল্য

শ্রীনগর: একদিকে চূড়ান্ত আর্থিক অনটন৷ অন্যদিকে ভূস্বর্গের রাজনৈতিক টানাপোড়েন৷ জোড়া প্রতিকূলতাকে হারিয়ে এবার সর্বভারতীয় ডাক্তারি পরীক্ষায় সাফল্য ছিনিয়ে এনে নজির গড়লেন বছর ১৭ কিশোরী ইরম শামিম৷ অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সাইন্সের প্রবেশিকা পরীক্ষায় ৯২ শতাংশ নম্বর পেয়ে মেধা তালিকার শীর্ষে কাশ্মীরি এই কন্যা৷

চূড়ান্ত অনটন, বারুদের গন্ধে বেড়ে ওঠা কাশ্মীরি কন্যার অনন্য সাফল্যআগামী মাসেই পাটনার এইমসে পড়াশোনার সুযোগ পেলেন এই কাশ্মীরি কিশোরী৷ ইতিমধ্যেই ভর্তির প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে৷ ভারত-পাক উত্তেজনা, বারুদের গন্ধ থাকা রাজৌরি জেলার ধনৌরের বাসিন্দা এই কিশোরী গুর্জর সম্প্রদায়ের কন্যা৷ চার কিলোমিটার পায়ে হেঁটে যেতে হত স্কুলে৷ মা অঙ্গনারী কর্মী৷ বাবা কৃষক৷ চূড়ান্ত অভাবকে দূর করে নিজের অধ্যাবসায় আজ সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে গেছেন এই কিশোরী৷

চূড়ান্ত অনটন, বারুদের গন্ধে বেড়ে ওঠা কাশ্মীরি কন্যার অনন্য সাফল্যইরম শামিমের এই সাফল্যে খুশি কিশোরী ও তার পরিবার৷ গোটা গ্রামেও আজ উৎসবের আমেজ৷ গ্রামের মেয়ের সাফল্যে বাসিন্দারাও চান, ডাক্তারি পড়ে এসে ভূস্বর্গের চিকিৎসা করুক ইরম৷ সমস্ত প্রতিকূলতাকে হারিয়ে ডাক্তারি পড়ার সাফল্য পেয়ে আনন্দে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি ১৭ বছরের ওই কিশোরী৷

চূড়ান্ত অনটন, বারুদের গন্ধে বেড়ে ওঠা কাশ্মীরি কন্যার অনন্য সাফল্যতার একটাই লক্ষ্য, ডাক্তারি পড়ে এই ভূস্বর্গে তিনি চান স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে৷ কারণ এই গ্রামের বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যপরিষেবা পেতে অন্তত সাত-আট কিলোমিটার পায়ে হেঁটে যেতে হয়৷ যোগাযোগ ব্যবস্থাও অনুন্নত৷ ফলে হাসপাতালে যাওয়ার আগেই অধিকাংশ রোগীর অবস্থা দুর্বিষহ হয়ে ওঠে৷ ফলে ইরমের ইচ্ছা, স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের সমস্যা মেটাতে ডাক্তারি পড়ে এসে এই গ্রামে ফিরতে চান তিনি৷ তার এই সাফল্যে খুশি জেলা প্রশাসন৷ ইরম শামিমের পড়ার খরচ আর্থিকভাবে সমস্ত দায়-দায়িত্ব স্থানীয় প্রশাসন নেবে বলেও আশ্বাস দিয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *