কলকাতা: দেশজুড়ে লকডাউন পরিস্থিতি। বন্ধ রাখা হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। বন্ধ স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা। যদিও অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে সেই ঘাটতি পূরণের চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য। তবে অনলাইন এই পরিষেবা সমস্ত পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে সহজলভ্য না হওয়ায় তাদের স্বাভাবিক পঠন পাঠন ব্যাহত হচ্ছে। তাই শিক্ষাবর্ষের সময়সীমা বৃদ্ধির দাবি জানাল অল পোস্ট গ্র্যাাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের এমপ্লয়ি আই কার্ড দেওয়া ও তৃতীয় ভাষা হিসেবে সংস্কৃত বিষয়ে ডিজিটাল ক্লাস চালুসহ অ্যাক্টিভিটি টাস্ক দেওয়ার কথা জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ও অন্যান্য শিক্ষা আধিকারিককে লিখিত দাবি জানাল শিক্ষক সংগঠন।
করোনার জেরে লকডাউন জারি হয়েছে গোটা দেশে। একাদশ শ্রেণির সমস্ত পড়ুয়াদের পাশ করিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজের পড়াশোনা। যদিও রাজ্য জুড়ে অনলাইন ক্লাস চালু করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দফতর। তবে ডিজিটাল এই ক্লাসে সম্পূর্ণ হচ্ছে না পড়ুয়াদের স্বাভাবিক পড়াশোনা। সবার পক্ষে অনলাইন ক্লাসে যোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলেই দাবি জানিয়েছে শিক্ষক সংগঠন অল পোস্ট গ্র্যা জুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।
দীর্ঘ সময় ক্লাস বন্ধের জন্য ২০২০ শিক্ষাবর্ষের সময়সীমা ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে তারা। এছাড়াও তারা জানিয়েছে, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির আবশ্যিক বিষয় সংস্কৃতের কোনও একক ও অভিন্ন পাঠ্যপুস্তক নেই। এর ফলে অনলাইন ক্লাসের সূচিতে সংশ্লিষ্ট বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত হয়নি। সেই বিষয়টিতে নজর দেওয়ার কথাও লিখিত জানিয়েছে সংগঠনটি। পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের আইডি কার্ড দেওয়ার দাবিও জানিয়েছে তারা। সংগঠনের সহ-সভাপতি বৈশাখী সাহা বলেন, 'করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে সুস্থ স্বাভাবিক পরিবেশে পঠনপাঠন শুরু করা ও ছাত্রছাত্রী-সহ অভিভাবকদের চিন্তামুক্ত করতে শিক্ষা দফতরকে শিক্ষাবর্ষের সময়সীমা বাড়ানো, স্কুল ও মাদ্রাসার সাথে যুক্ত সমস্ত কর্মীদের আইকার্ড প্রদান এবং সংস্কৃতের মতো আবশ্যিক বিষয়ের ডিজিটাল ক্লাস চালু ও অ্যাক্টিভিটি টাস্ক দিতে হবে। এই সমস্ত বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছে সংগঠন।'