উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষা ব্যবস্থায় বড়সড় পরিবর্তনের ভাবনা রাজ্যের

কলকাতা: সর্বভারতীয় স্তরে গুরুত্ব বজায় রেখে বাংলাতেও প্রথম শ্রেণি থেকে হিন্দি ভাষা চালু করতে হবে বলে রাজ্যকে জানিয়েছিল কেন্দ্র৷ এবার ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে হিন্দি ভাষা পড়ানো বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর৷ শুধু হিন্দি নয় উচ্চ প্রাথমিকে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে সংস্কৃত পড়ানো হবে বলে শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর। বর্তমানে উচ্চ প্রাথমিকে

উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষা ব্যবস্থায় বড়সড় পরিবর্তনের ভাবনা রাজ্যের

কলকাতা: সর্বভারতীয় স্তরে গুরুত্ব বজায় রেখে বাংলাতেও প্রথম শ্রেণি থেকে হিন্দি ভাষা চালু করতে হবে বলে রাজ্যকে জানিয়েছিল কেন্দ্র৷ এবার ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে হিন্দি ভাষা পড়ানো বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর৷ শুধু হিন্দি নয় উচ্চ প্রাথমিকে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে সংস্কৃত পড়ানো হবে বলে শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর।

বর্তমানে উচ্চ প্রাথমিকে সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণিতে সংস্কৃত ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে পড়ানো হয়৷ কিন্তু হিন্দি পড়ানো হয় না৷ এবার ষষ্ঠ শ্রেণিতে হিন্দি ও সংস্কৃত করানোর কথা ভাবছে শিক্ষা দপ্তর৷ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই সিলেবাস কমিটির তরফ থেকে এই বিষয়ে শিক্ষা দপ্তরের কাছে সুপারিশ জমা পড়েছে৷ যদিও বিষয়টি মন্ত্রী বা শিক্ষা দপ্তরের বিষয় বলে সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার সরাসরি কিছু বলতে রাজি হননি। বেশ কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন শিক্ষা কমিশন ছোটদের পাঠ্যসূচিতে তিনটি ভাষা প্রয়োগের কথা বলে আসছে৷ এই তিনটি ভাষার প্রথমটি হল মাতৃভাষা৷ দ্বিতীয় ভাষা ইংরেজি৷ তৃতীয় ভাষা হিন্দি৷ তৃতীয় সংস্কৃত৷ হিন্দি পড়তে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই৷ রাজ্যে হিন্দিভাষী নয় এমন জায়গায় পড়ানো হবে সংস্কৃত৷

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে হিন্দি পড়ানোর জন্য বাংলা মাধ্যমের স্কুলগুলিতে আলাদা করে শিক্ষক প্রয়োজন৷ শিক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, সেই জন্য শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে৷ গত ছ’য়ের দশক ও আটের দশকের প্রথম দিকে রাজ্যে হিন্দি পড়ানো হতো৷ পরবর্তী সময়ে হিন্দির বদলে সংস্কৃতির ওপর বেশি জোর দেয়া হয়৷ বর্তমানে রাজ্যে হিন্দিভাষীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে৷ পাশাপাশি সর্বভারতীয় স্তরে হিন্দি ভাষার গুরুত্ব বাড়াই বেসরকারি হিন্দি মাধ্যম স্কুলের রমরমা বাড়ছে৷ অন্যদিকে বাংলা মাধ্যমের সংখ্যা কমছে৷ তুলনামূলক প্রতিযোগিতার বাজারে হিন্দি ভাষা শিক্ষা চালু হলে সংখ্যা কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা শিক্ষক মহলের৷ পাশাপাশি সংস্কৃত ভাষার গুরুত্ব কমবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে বিভিন্ন মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 + 12 =