জাতীয় শিক্ষা নীতিতে আপত্তি রাজ্যের, বড় ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর, কমিটি গঠন

জাতীয় শিক্ষা নীতিতে আপত্তি রাজ্যের, বড় ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর, কমিটি গঠন

 

কলকাতা: ঢাকঢোল পিটিয়ে নতুন শিক্ষানীতি অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে জানিয়েছেন, এই শিক্ষানীতি চাকরিপ্রার্থী নয়, চাকরিদাতা তৈরি করবে৷ সবার মতামত নিয়ে এই নীতি ঘোষণা করা হয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর এবার জাতীয় শিক্ষানীতি প্রসঙ্গে বড়সড় উদ্যোগ নিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার৷ কেন্দ্রের কাছে নিজেদের আপত্তি তুলে ধরতে গঠন করা হয়েছে একটি পৃথক কমিটি৷ ছয় সদস্যের কমিটিতে রয়েছেন উপার্যচ থেকে শিক্ষাবিদরা৷ একাধিক শিক্ষক সংগঠনের থেকেও চাওয়া হয়েছে মতামত৷

আরও পড়ুন- সুখবর, পড়ুয়াদের নতুন ৩টি বৃত্তি দিচ্ছে মমতা সরকার, শুরু আবেদন

কেন্দ্রের জাতীয় শিক্ষানীতির আপত্তি জানিয়েছে রাজ্যের৷  প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সবার সঙ্গে কথা বলা এই নীতি চূড়ান্ত করা হয়েছে৷ কিন্তু, প্রধানমন্ত্রীর এই দাবি ঠিক নয়৷ রাজ্যের সঙ্গে কোনও রকম কথা বলা হয়নি বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ জাতীয় শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আপত্তি তুলে ধরতে মতামত ও আপত্তির বিষয়গুলি তুলে ধরতে গঠন করা হয়েছে কমিটি৷

আরও পড়ুন- রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফল প্রকাশের দিন ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর

শনিবার প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, দীর্ঘ চর্চার পর এই শিক্ষানীতি আনা হয়েছে৷ আলোচনা হয়েছে৷ বহু মানুষের সঙ্গে আলোচনার পর নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে৷ নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে৷ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্যের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র৷ এই নীতি তৈরির সময় বাংলার কোনও প্রতিনিধি রাখা হয়নি বলেও অভিযোগ শিক্ষামন্ত্রীর৷ শিক্ষানীতির বিষয়ে একাধিক আপত্তি রয়েছে বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি৷ এই নিয়ে মতামত জানতে, ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছে রাজ্য সরকার৷

আরও পড়ুন- অনলাইনে ভর্তি হলেও শিক্ষকদের হাজিরার নির্দেশ, শুরু জলঘোলা

রাজ্যের আপত্তির মূল জায়গা, কেন সংসদে আলোচনা না করে কেন এই জাতীয় শিক্ষানীতি প্রকাশ করা হল? কোন কোন বিষয়ে আপত্তি রয়েছে রাজ্যের, তা জানতে লিপিবদ্ধ করার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে ছয় সদস্যের কমিটি তৈরি করা হয়েছে৷ আজ সেই কমিটি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ ওই বিশেষ কমিটিতে রয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী এবং সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার, শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, সাংসদ তথা প্রাক্তন অধ্যাপক সৌগত রায়৷ আগামী ১৫ আগস্টের মধ্যে এই কমিটি রিপোর্ট জমা দেবে রাজ্যকে৷ এছাড়াও রাজ্য শিক্ষক সংগঠনের থেকেও মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে৷ কোন কোন বিষয়ে জাতীয় কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতিতে আপত্তি রয়েছে তা তুলে জানতে চাওয়া হয়েছে৷ কমিটির রিপোর্ট পরে পাঠানো হবে কেন্দ্রের কাছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *