কলকাতা: করোনার প্রকোপ থেকে দেশ ও জনজাতি কবে রক্ষা পাবে তা কেউ জানে না। কেন্দ্রীয় সরকারও জানিয়েছে, দেশবাসীকে করোনা নিয়েই চলতে হতে পারে। নিজের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো বা করোনার প্রতিষেধকের অপেক্ষা করা ছাড়া আর বিশেষ উপায় দেখছেন না কেউ। কিন্তু, কী হবে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার? স্কুলে আবার ভরা ক্লাসরুম কী ফিরে আসবে? ১৭ মে শেষ হচ্ছে লকডাউন। তা যে আবার দীর্ঘায়িত হবে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেক্ষেত্রে ২ মাস বন্ধ স্কুলগুলি নিয়ে কি নতুন কিছু ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার?
হ্যাঁ, মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রক বিষয়টি নিয়ে চিন্তা ভাবনা করেছে। ক্লাসে একসঙ্গে ৩০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী থাকতে পারবে। স্কুলে কোনও সেমিনার বা জমায়েত হবে না। ক্লাস হতে পারে দুটি পর্বেও। বুধবার কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখড়িওয়াল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। লকডাউন পরবর্তী শিক্ষা পদ্ধতি কিছুটা বদলাবে, জানিয়েছেন পোখড়িওয়াল। ইতিমধ্যেই NCERT বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। তারা মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রককে কিছু প্রস্তাব দিয়েছে। ১. প্রতি ক্লাসে ৩০ শতাংশের বেশি পড়ুয়া থাকবে না। ২. বিদ্যালয়ে কোনও জমায়েত হবে না। ৩. সকাল-বিকাল করে দুটি পর্বে ক্লাস হবে। বিস্তারিত গাইডলাইন বানাবে মন্ত্রক।
অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা বলছেন, এই ভাবে দুটি পর্বে ক্লাস হলে একটি বা দুটি ক্লাসই হতে পারবে। একজন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে ১০-১২ ঘন্টার বেশি ক্লাস নিতে হবে। যা কার্যত সম্ভব নয়। তবে, একটি ক্লাস যদি রোটেশন শিফটে একদিন বাদ দিয়ে আসে, তবে কিছুটা সম্ভব হলেও হতে পারে। নয়ত, ব্যাপক ভাবে শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। অল্প শিক্ষকে হবে না। অন্যদিকে, প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্লাস করার সুফল মাত্র কিছু ছাত্রছাত্রী পায়, গ্রামের দিকে প্রযুক্তির ব্যবহার দুর্বল এবং অনেকেরই ইন্টারনেট পরিষেবা নেই। সেক্ষেত্রে এই পদ্ধতি বেশিদিন কার্যকর হবে না বলে মত শিক্ষকদের।
রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর নড়েচড়ে বসেছে। সূত্রের খবর, রাজ্যে ১০ জুন পর্যন্ত ছুটি স্কুল। আর পর স্কুল কিভাবে খুলতে পারে এবং পঠনপাঠন কি ভাবে শুরু হবে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। দফতর প্রধান শিক্ষক – শিক্ষিকাদের কাছে বিষয়টি নিয়ে মতামত জানতে চেয়েছে। অভিভাবকদের থেকেও মতামত চাওয়া হয়েছে। তবে, যা খবর, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের থেকে কোনও মতামত চাওয়া হয়নি।