কলকাতা: সরকারি নির্দেশনামা অনুযায়ী ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাজ্যের সবক’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তার আওতায় পড়ে রাজ্য শিক্ষা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ পরিষদ (এসসিইআরটি)। কিন্তু সেখানে ৮ জুন অর্থাৎ আজ থেকেই শিক্ষকদের আসতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অথচ এ মাসেরই প্রথম দিন এসসিইআরটির তরফে নির্দেশ জারি করা হয়েছিল, ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সমস্ত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলি। কিন্তু আচমকা উলটো অবস্থান নিয়ে শিক্ষক এবং প্রশিক্ষকদের প্রতিষ্ঠানগুলিতে আসতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। ১ জুন প্রকাশিত নির্দেশনামায় স্বাক্ষরকারী এসসিইআরটির অধিকর্তা ছন্দা রায়কে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি পুরো বিষয়টি সরকারের সিদ্ধান্ত বলে এড়িয়ে গিয়েছেন৷
অন্যান্য, রাজ্য সরকারি কার্যালয়ে সপ্তাহে পাঁচদিন কর্মদিবস থাকলেও এসসিইআরটির অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানগুলি চলে ছ’দিন৷ সেক্ষেত্রে তাঁদের স্কুল-কলেজের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে মনে করা হয়। কোভিড-১৯ অতিমারির জের কাটিয়ে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকারি অফিসগুলো। সেখানে ৭০ শতাংশ হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আচমকা এসসিআরটির অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানগুলিতে ছাত্র-ছাত্রী না হলেও শিক্ষকদের অন্যান্য সরকারি অফিসের মতো আসতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
গত ১ জুন ইস্যু হওয়া সরকারি নির্দেশনামা থেকে সরে গিয়ে কেন হঠাৎ নতুন সিদ্ধান্ত তা নিয়ে কিছুই বলতে জানাতে চাননি এসসিইআরটির অধিকর্তা ছন্দা রায়। তিনি শুধুমাত্র ‘সরকারের সিদ্ধান্ত’ বলে দায় সেরেছেন। এদিকে শিক্ষকদের মধ্যে ঘনীভূত হয়েছে ক্ষোভ। যখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলে সরকারি অফিসের মতো সপ্তাহে দু’দিন ছুটি পাওয়া যাওয়া না, তখন ৩০ জুন অবধি বন্ধ থাকাই দস্তুর বলে মনে করছেন শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের একাংশ। তাঁরা প্রশ্ন করছেন, আচমকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন কী করে সাধারণ সরকারি অফিস হয়ে উঠল? আর যদি সরকারি অফিসই হয়, তাহলে পাঁচদিন ছুটি দেওয়া হবে না কেন? অভিযোগ কতটা সঙ্গত এবং তা নিয়ে রাজ্য সরকার কী উত্তর দেয় সেটাই এখন দেখার।
(রাজ্য শিক্ষা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ পরিষদ, হাওড়ার দফতর খোলা থাকার ছবি (৮ জুন) কর্তৃপক্ষের আপত্তিতে মুছে ফেলা হল৷ প্রতিবেদনটি ১২ জুন বিকেল ৩টে ৪৬ মিনিটে দ্বিতীয় বারের জন্য আপডেট করা হল৷)