শাম্মী হুদা: এখনকার দিনে স্কুল কলেজ যে যেখানেই শিক্ষা লাভ করুক না কেন প্রত্যেকেরই একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য রয়েছে। সবাই সফল হতে চায় জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত হতে চায়। পাশের মানুষটিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার মধ্যে একটা আনন্দ রয়েছে। এভাবেই ভবিষ্যতের নাগরিকরা আত্মকেন্দ্রিক মনোভাবে নিজেদের গুছিয়ে নিচ্ছে। যার ভয়ঙ্কর পরিণতি দরিদ্র আরও অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে। আর যার টাকার অভাব নেই সে আরও অর্থ লাভ করছে। সমাজে আর্থিক বৈষম্য বাড়ছে , পাল্লা দিয়ে অপরাধ প্রবনতাও বেড়ে চলেছে। এবার এহেন বৈষম্য থেকে মুক্তির উপায় বের করলেন শ্রীমতি ভিথানি।
তিনি দেশের হাইটেক সিটি বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। সেখানকার হেবব ল শহরে তাঁর একটি স্কুল রয়েছে, নাম বিদ্যানিকেতন। সেই স্কুলের শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মী আর পড়ুয়াদের মধ্যে নয়া নিয়ম চালু করেছেন। শুধু নিজেদের উন্নতিতে নজর দিলে চলবে না , সার্বিক উন্নতি দরকার। তাই পিছিয়ে পড়া মানুষজনের জন্য কল্যাণকর কাজকর্ম করতে হবে। সেজন্য পড়ুয়া , শিক্ষক ও কর্মীদের ৪০ ঘণ্টা ছুটিও মঞ্জুর করেছেন তিনি।
বছরে এমনিতেই ছুটি ভালই থাকে তার মধ্যেই ৪০ ঘন্টা সময় বেছে নিয়ে কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টের কাজ করতে হবে। এজন্য প্রত্যেকের কাছে থাকবে পকেট ডায়েরি সেখানেই নিজেদের কাজের খতিয়ান নথিভুক্ত হবে। পড়ুয়ারা কে কি কেমন কাজ করল তা ক্লাসের শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারে। শিক্ষকরাও একইভাবে নিজেদের কাজ নিয়ে আলাপ আলোচনা করতে পারেন।
বস্তুত শ্রীমতি ভিথানির লক্ষ্য হল তাঁর স্কুলের সকলেই যেন পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে ওঠেন সেই সঙ্গে সমাজ গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। যা কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টের হাত ধরেই সম্ভব হতে পারে। খুদেদের এই উদ্যোগে প্রভাবিত হবেন অভিভাবকেরা , এমনটাই আশা করেন শ্রীমতি ভিথানী। সবাই মিলে উন্নয়নে ব্রতী হলে সমাজের বাস্তব চিত্রটাই বদলে যাবে। বলা বাহুল্য , শহরের এক প্রযুক্তিবিদের মনোভাব তাঁকে নাড়া দিয়েছিল , সেই থেকেই এই সিদ্ধান্তে আসা। ওই প্রযুক্তিবিদ তাঁর প্রত্যেক কর্মীকে বছরে ৪০ ঘণ্টা ছুটি দিয়েছেন সামাজিক উন্নয়ন মূলক কাজ করার জন্য এই ঘটনাই ওই মহিলাকে অনুপ্রাণিত করেছে।