ফের কি বদলে যাচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সূচি? ইঙ্গিত শিক্ষামন্ত্রীর

ফের কি বদলে যাচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সূচি? ইঙ্গিত শিক্ষামন্ত্রীর

কলকাতা: ফের কি পিছিয়ে যেতে চলেছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পূর্ব ঘোষিত সূচি? ২৯ জুন উচ্চমাধ্যমিকে স্থগিত থাকা পরীক্ষাগুলি আদৌ কি নেওয়া যাবে? তা নিয়ে জল্পনা জিইয়ে রাখলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷

আগামী ২৯ জুন উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা দিন কি বদল হতে পারে? জল্পনা বাড়িয়েছেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ করোনা  আবহের মধ্যেই পুরো জুন মাসজুড়ে স্কুল-বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার৷ ৩০ জুন পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়েছে৷

শিক্ষামন্ত্রী নিয়ে জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের পর্ষদ বৈঠক করে সরকারকে অনুরোধ করেছে, ৩০ জুন পর্যন্ত আগের মতো কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বন্ধ রাখা হোক৷ ইতিমধ্যেই ৩০ জুন স্কুল বন্ধ রাখার ঘোষণা হয়েছে৷ শনিবার ৩০ জুন পর্যন্ত কনটেনমেন্ট জোনে লকডাউন বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷ আর তাতেই নতুন করে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে উচ্চমাধ্যমিকে পরবর্তী পরীক্ষার দিনক্ষণ নিয়ে৷

এখনও পর্যন্ত উচ্চমাধ্যমিকে ৩ দিনের পরীক্ষা বাকি৷ উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা নিতে সরকারের তরফে ২৯ জুন, ২ ও ৬ জুলাই সম্ভব্য পরীক্ষা সূচি ঘোষণা করে হয়েছে৷ যদিও,  পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে পরীক্ষা সূচির বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও বিজ্ঞপ্তি এখনও প্রকাশ করা হয়নি৷ শিক্ষামন্ত্রী ২০ মে উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার সম্ভাব্য সূচি ঘোষণা করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়৷   কিন্তু, শনিবার ৩০ জুন পর্যন্ত কনটেনমেন্ট জোনে লকডাউনে মেয়াদ বাড়িয়েছে কেন্দ্র৷ সে ক্ষেত্রে ২৯ জুন উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা আদৌও নেওয়া যাবে কি না, জবাব দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷

রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, আমরা যতদূর জানি ১৫ তারিখ পর্যন্ত এই রাজ্যে লকডাউন বাড়ানো হয়েছে৷ সুতরাং সেটা যদি আরও বাড়ে, তাহলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ ইতিমধ্যেই পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য রাজ্যের অধিকাংশ স্কুলকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসাবে গড়ে তোলা হয়েছে৷ ইতিমধ্যেই উচ্চমাধ্যমিকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার৷ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে মাস্ক ও সেনিটাইজারের ব্যবহার৷ ১টি বেঞ্চে ১ জন পরীক্ষার্থীকে বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ আর এই প্রক্ষাপটে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর বাড়ির কাছের কেন্দ্র পরীক্ষা নেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে৷  

এই বিষয়ে রাজ্যে শিক্ষামন্ত্রীর নিয়েছেন, যত বেশি সংখ্যক কাছাকাছি জায়গায় ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার সেন্টার করা যায়, সেদিকে নজর রেখেই আমরা সেন্টারগুলি করছি৷ ইতিমধ্যেই রাজ্যে ৭ হাজার স্কুলে পরিযায়ী শ্রমিকদের রাখার জন্য তৈরি হয়েছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার৷ শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা কেন্দ্র বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে৷ প্রয়োজনে কলেজগুলিকেও ব্যবহার করা হবে৷ শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, পরীক্ষার চেয়েও পড়ুয়া-শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের জীবনের মূল্য বেশি৷ ফলে তাঁদের সুরক্ষার ব্যাপারে কোনও আপস করা হবে না বলেও সাফ জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 + 12 =