কলকাতা: মাধ্যমিকে কীভাবে পাওয়া যাবে কমন প্রশ্ন? কীভাবে দিতে হবে পরীক্ষা? কোন প্রশ্নের উত্তর কখন লিখতে হবে? কোন কৌশল অবলম্বন করলে লাভ হবে? পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের টেস্ট পেপার প্রকাশের অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে সেই রহস্যের পর্দাফাঁস করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷
পর্ষদের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা ছাত্র সমাজের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে৷ মেধার প্রকাশ ও উৎকর্ষতা বাড়ানোর দিকে সবথেকে বেশি নজর দিচ্ছে রাজ্য সরকার৷
টেস্ট পেপারের গুরুত্ব বোঝাতে শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, ‘‘আমি যখন পড়তাম, তখন এই টেস্ট পেপারের জন্য হাহাকার দেখা দিত৷ আমরা পেতাম না৷ যদিও আমি যে স্কুলে পড়তাম সেখানে স্কুলের টেস্ট পেপারের প্রয়োজন হত না৷ আমাদের প্রশ্নপত্র অন্যরা টেস্ট পেপার ভাবত৷ এটা নিয়ে একটা অসুবিধা ছিল৷ বিশেষ করে গ্রামের স্কুলে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বিনামূল্যে সব দেওয়া হবে৷ আমরা আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকলেও বই-পত্র, টেস্ট পেপার বিনামূল্যে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি৷’’
কীভাবে মাধ্যমিকের প্রশ্ন কমন পাওয়া যাবে? ফাঁস করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি অভিভাবকদের বলতে চাই, এটা ছাড়া দ্বিতীয় কিছু পড়াবেন না৷ লাভ হবে না৷ এখানে ১৪০ বা ১২০টা বাছা স্কুলের প্রশ্ন নিয়ে করা হয়েছে৷ ১৪০টি স্কুলের প্রশ্নপত্রের মধ্যে দেখুন কোন প্রশ্নগুলি কমন আসছে৷ দেখবেন, অনেকটাই কমন চলে এসেছে৷ অনেক কমন৷ ফলে ভয় পাওয়ার মতো কিন্তু কিছু নেই৷’’
পরীক্ষার্থীদের শিক্ষামন্ত্রীর বার্তা, ‘‘আবারও বলছি, যারা অসৎ উপায় অবলম্বন করে, তারা সেদিনের জন্য জয়ী হয়৷ কিন্তু জীবন যুদ্ধে তারা পরাজিত হয়ে যায়৷ আমি সকলকেই বলব, ভালো করে প্রশ্নটা দেখে, মাথা ঠান্ডা করে জানা প্রশ্ন আগে লেখা ভালো৷ যেটা মাঝারি জানা, সেই প্রশ্নেও নজর দেওয়া যেতে পারে৷ প্রশ্ন পড়ে অনেক সময় অনেকের খারাপ হয়ে যায়৷ আমি বারবার বলছি, মাথাটা কিন্তু ঠান্ডা রাখতেই হবে৷