ফনি ও উষ্ণ প্রবাহের জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য শিক্ষা দপ্তর এক আদেশনামা ৬ মে ২০১৯ থেকে ৩০ জুন ২০১৯ পর্যন্ত দীর্ঘ সময় রাজ্যের সকল সরকারি ও সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত বিদ্যালয়গুলি সামগ্রিক ভাবে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। বর্তমান শিক্ষাবর্ষে ইতিমধ্যেই পঠন পাঠন প্রক্রিয়া বিঘ্ন ঘটেছে। বেশ কিছু মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন বন্ধ থাকায়, পরবর্তীতে লোকসভা নির্বাচন ২০১৯ উপলক্ষে শিক্ষকরা প্রশিক্ষণ নিতে ব্যস্ত থাকায় পঠন পাঠন বিঘ্ন হয়েছে। তার পর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম পর্যায়ে ক্রমিক মূল্যায়ন চলাকালীন সময়ে আকস্মিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকার নির্দেশ বিদ্যালয় পরিচালনায় সমস্যা তৈরি হয়েছে।
এই অচলাবস্থা দূর করতে নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি জলপাইগুড়ি জেলা কমিটি জেলার সব কটি সার্কেলে স্মারকলিপি প্রদান করেছে অবিলম্বে স্কুল খোলার দাবিতে। সংগঠনের জেলা সম্পাদক বিপ্লব ঝা বলেন অতি দরিদ্র ছাত্র ছাত্রীরা স্কুলের পড়াশোনার উপর নির্ভরশীল। তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জেলার অনেক চা বাগান বন্ধ, সেখানকার ছাত্র ছাত্রীরা মিড ডে মিলের উপর নির্ভরশীল। ফলে সেখানে কঠিন অবস্থা তৈরি হয়েছে। এছাড়াও বিদ্যালয় গুলিতে মিড ডে মিলের চাল এসেছে পড়ে আছে তা নষ্ট হয়ে যাবে। তার দায় বর্তাবে শিক্ষক শিক্ষিকাদের ওপর। অবিলম্বে বিদ্যালয় খোলার দাবি করেন বিপ্লব ঝা। তিনি আরো জানান, আগামী শুক্রবার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে বিদ্যালয় খোলার দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে সংগঠনের পক্ষ থেকে।