কলকাতা: মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন! বদলে যাচ্ছে চলতি বছরের পরীক্ষা পদ্ধতি! কী ভাবে হবে এবারের নম্বর বিভাজন? কতটা বদলাবে প্রশ্ন কাঠামো? নয়া নিয়মে পরীক্ষা পদ্ধতি ঘিরে তৈরি হয়েছে চরম ধোঁয়াশা৷
নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, জুলাই শেষে হবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা৷ মাধ্যমিক হবে অগাস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে৷ করোনা আবহে এবার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া হবে নয়া নিয়মে৷ ঐচ্ছিক বিষয়ে পরীক্ষা হবে না৷ মাধ্যমিকে ৭টি ও উচ্চমাধ্যমিকে ১৫টি আবশ্যিক বিষয়ের পরীক্ষা হবে৷ কমছে পরীক্ষার সময়৷ অর্ধেক হচ্ছে বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষার পূর্ণমান৷ কিন্তু, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রশ্নভিত্তিক নম্বর বিভাজন কী ভাবে হবে? একই থাকবে প্রশ্নপত্র? করোনা আবহে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে নতুন উৎকণ্ঠা পড়ুয়ারা৷ কেননা, নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা হবে ধরে নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ইতিমধ্যে তৈরি হয়ে গিয়েছে৷ তাহলে পরিবর্তিত এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষায় কী ভাবে নম্বর বরাদ্দ হবে? বদলাবে কাঠামো?
কীভাবে হবে প্রশ্নভিত্তিক নম্বর বিভাজন? প্রশ্নপত্র কী একই থাকবে? এই মুহূর্তে উচ্চ মাধ্যমিকে ৫২টি আবশ্যিক বিষয় রয়েছে৷ ১৫টি ভাষাভিত্তিক, বাকি ৩৭টি বিষয়ভিত্তিক৷ বিজ্ঞান, কলা এবং বাণিজ্য শাখার অন্তর্গত অই ৩৭টি বিষয়৷ এক দশক আগে রাজ্যে নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির সিলেবাস ও প্রশ্নপত্রেও ঘটেছে বিভাজন৷ আর সেই বিভাজনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই আমূল বদলে গিয়েছে প্রশ্নপত্রর কাঠামো৷ ধাঁচ এবং নম্বর বরাদ্দের পদ্ধতিও বদলে গিয়েছে৷ এখন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে যুক্ত হয়েছে মাল্টিপল চয়েস কোয়েশ্চন৷ এক নম্বর করে বরাদ্দ থাকে সেখানে৷ রয়েছে অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন৷ বরাদ্দ এক নম্বর৷ সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নও থাকছে৷ এখানে বরাদ্দ দুই বা তিন নম্বর৷ লং অ্যানসার-টাইপ কোয়েশ্চনসের বিভাজন রয়েছে৷ এক্ষেত্রে বিষয়ের হেরফেরে চার, পাঁচ, আট ও দশ নম্বর অবধি নম্বর বরাদ্দ করা হয়। এখানেই শেষ নয়। উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে ল্যাবভিত্তিক বিষয়েও রয়েছে নানান বিভাজন৷
এখন পড়ুয়াদের প্রশ্ন, প্রশ্নর পূর্ণমান কমে অর্ধেক হয়ে গেলে এই ভিন্নমানের প্রশ্নগুলিতে কী ভাবে নম্বর বরাদ্দ করা হবে? পর্ষদ সূত্রে খবর, তারা মুখ্যমন্ত্রীর কথামতোই তৈরি প্রশ্নপত্রে ৯০ নম্বরের মধ্যে পড়ুয়াদের ৪৫ নম্বরের উত্তর লেখার বিজ্ঞপ্তি জারি করে দ্রুত সমস্যা সমাধানের চিন্তাভাবনা করছে৷ শিক্ষামহলের মতে, নম্বর যেহেতু অর্ধেক হয়ে গিয়েছে, তাই নতুন প্রশ্নে পরীক্ষা হলেই ভালো হতো৷ পরীক্ষার্থীরা কোন ধরনের প্রশ্নের কটা উত্তর লিখবে, তা যেন স্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করে জানায় পর্ষদ ও সংসদ৷ না হলে পরীক্ষা কেন্দ্রে ছাত্রছাত্রীরা বিভ্রান্তির শিকার হবে৷