নয়াদিল্লি: লক্ষ্য দেশের উচ্চশিক্ষার পরিকাঠামো উন্নয়ন। সেই লক্ষ্যে এইচইএফএ (হায়ার এডুকেশন ফান্ডিং এজেন্সি) ৫৩১০ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে। বিভিন্ন আইআইটি, আইআইএম, আইআইএসইআর, নিট-র মেতা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির বিভিন্ন প্রকল্পে এই টাকা খরচ করা হবে। ৪৪ টি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো উন্নয়নে এই টাকা খরচ হবে। ট্যুইট বার্তায় এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়ের।
৭ জানুয়ারি সংস্থার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। মোট ৫৩১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৪ টি কেন্দ্রীয় বিশ্বদ্যালয়ের মধ্যে প্রতিটির ক্ষেত্রে বিল্ডিং নির্মাণে ১১ কোটি করে দেওয়া হবে। যেসব রাজ্যে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের জন্য ১১ কোটি করে বরাদ্দ করা হয়েছে, তার মধ্যে তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, অন্ধ্রপ্রদেশ ও অন্যান্য রাজ্য রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের রেলওয়ে কলোনি খড়গপুরের জন্য প্রায় ১১ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।
ট্যুইট বার্তায় জাভড়েকর জানিয়েছেন, এইচইএফএ ৮১৫ কোটি বারাদ্দ করেছে আইআইটিগুলির জন্য। ১২০৬.১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ আইআইএমগুলির জন্য। ১০৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ আইআইএসইআর গুলির জন্য। আইআইএস গুলির জন্য বরাদ্দ ২৯.১৫ কোটি টাকা। নিটগুলি পরিকাঠামো উন্নয়নে পাবে ১৮২ কোটি টাকা। উচ্চশিক্ষায় বরাদ্দের জন্য মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
কী এই এইচইএফএ? হায়ার এডুকেশন ফিনান্সিং এজেন্সি হল জয়েন্ট ভেনচারে চলা একটা সংস্থা। কেন্দ্রীয় সরকারের মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ও কানাড়া ব্যাঙ্কের যৌথ উদ্যোগে উচ্চ শিক্ষায় বরাদ্দ নির্দিষ্ট করার কাজ করে এইচইএফএ। কোম্পানি আইন ২০১৩ –এর ৪ নম্বর ধারা অনুয়ায়ী এটি একটি অলাভদায়ী সংস্থা। এটি রিজার্ভ অফ ইন্ডিয়া অনুমোদিত কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সংস্থা।
সম্প্রতি নিম্ন আয়ের লোকেদের শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্র ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এই নিয়ে বিল সংসদে পাশ হয়েছে। আইন হওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা। বিরোধীদের বারণ না শুনে একে লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাশ করিয়ে নেয় সরকার। এবার উচ্চ শিক্ষায় ঢালাও বরাদ্দ। ২০১৯-এ লোকসভা ভোটের আগে মোদী এখন কল্পতরু হয়েছেন। এতেই তুমুল হৈচৈ করছে বিরোধীরা। তারা বারবার বোঝানোর চেষ্টা করছে, ভোটের আগে এটা মোদীর পাবলিসিটি স্টান্ট। এতো মোদী কতটা লাভবান হবেন, তা সময়ই বলবে।