ঝাড়গ্রাম: নাম পরিবর্তন হল ঝারগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের। সাঁওতালি সাহিত্যের মহাকবি সাধু রাম চাঁদ মুর্মুর নামে নয়া নাম হবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের। সোমবার বিধানসভায় এমনটাই ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।
এদিন বিধানসভায় ভোটপূর্ব অন্তর্বর্তী বাজেট অধিবেশনের শেষদিন ছিল। ঝাড়গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত ‘দি ঝাড়গ্রাম ইউনিভারসিটি সংশোধনী বিল ২০২১’ এর আলোচনার জবাবী ভাষণে রাজ্য শিক্ষামন্ত্রী তথা পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, “ঝাড়গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে। সাঁওতালি ভাষার মহাকবি সাধু রাম চাঁদ মুর্মুর নামে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়া নামকরণ করা হবে। ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ে তার সাহিত্যের বহু কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হবে।”
তিনি আরও জানান, “ইতিমধ্যেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগের জন্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের কাছে সার্চ কমিটির সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।” এদিন ঝাড়গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আলোচনার শুরুতেই কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্র দূষণ বন্ধ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের লাগোয়া স্পঞ্জ আয়রন কারখানাটিকে অন্য জায়গায় সরানোর আবেদন করেন। তিনি জানান, “এই কারখানার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশে প্রভাব পড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পরিবেশ দূষণ বাড়ছে। এতে ছাত্র-ছাত্রীরা প্রভূত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।” যদিও এ নিয়ে জবাবী ভাষণে কিছুই জানাননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
আসন্ন বিধানসভা ভোটকে মাথায় রেখে একের পর এক বল ফ্রন্টফুটে খেলছে তৃণমূল সরকার। গতমাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেদিনীপুর ও পুরুলিয়া সফর দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। পুরুলিয়ার সাঁওতাল, মুন্ডা-সহ বিভিন্ন জাতির মানুষের জন্য সুযোগ-সুবিধার ঝাঁপি খুলে দিয়েছে শাসক দল। সেখানকার সাঁওতাল ভোট ব্যাঙ্ক নিজেদের পক্ষে টানার জন্যই একের পর এক সুখবর শোনাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ২০২০-২১ অর্থবর্ষের অন্তর্বর্তী বাজেট অধিবেশনেও সেই প্রতিচ্ছবি দেখা গিয়েছে। ঝাড়গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বদলে সাঁওতালি মহাকবির নামে নামকরণ সেরকমই একটা মাস্টার স্ট্রোক বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।