নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে উচ্চশিক্ষার প্রসারে অনলাইনের উপর জোর দিয়েছে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। ২০১৬-য় বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি। এবার একই পথে হাঁটে অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশনও বা এআইসিটিই৷ স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে শ্রেণিকক্ষের পাশাপাশি অনলাইনেও ২০ শতাংশ কোর্স চালুর প্রস্তাব দেওয়া হয়৷ তাতে প্রাপ্ত নম্বর ছাত্রছাত্রীদের বার্ষিক বা সেমেস্টার পরীক্ষায় গ্রেড কার্ড যুক্ত করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল৷
ইউজিসি-র আশা ছিল, কোনও কারণে ক্লাসে হাজির হতে না-পারা ছাত্রছাত্রীরা নিজের পছন্দমতো সময়ে অনলাইনে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। কিন্তু তিন বছর হয়ে গেল, রাজ্যের প্রথম সারির কোনও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ার জন্যই এই অনলাইন সুযোগের শিকে ছিঁড়ল না৷ ইউজিসি ২০১৬-র ১৯ জুলাই ন্যাশনাল প্রোগ্রাম ফর টেকনোলজি এনহ্যানসড লার্নিংয়ের বা এনপিটিইএল-এর মাধ্যমে অনলাইন কোর্স চালুর প্রস্তাব দেয়৷ ম্যাসিভ ওপেন অনলাইন কোর্স (মুক) সারা বিশ্বেই সমাদৃত। বাড়িতে বসেই অনলাইন কোর্স করা যায়।
দেশে দু’ধরনের কোর্স আছে, ভিউ এবং ক্রেডিট ভিত্তিক। সংশ্লিষ্ট পাঠ্যক্রমে ভিডিয়ো লেকচার, অ্যাসাইনমেন্ট এবং ক্লাস টেস্ট আপলোড করা থাকে। রেজিস্ট্রেশন করলেই কোর্সের বিষয়বস্তু দেখতে পাওয়ার কথা। কোর্স করার সঙ্গে পরীক্ষায় বসার কোনও সম্পর্ক নেই। নাম রেজিস্ট্রেশনে ফি-ও নেই। শুধু পরীক্ষার জন্য এক হাজার টাকা ফি। পরীক্ষার দিন অবশ্য সেন্টারে যেতে হয়৷