স্কুল সংস্কারে দু’মাসের বেতন দান IAS অফিসারের

আজ বিকেল: সমাজের বর্ষীয়ান সদস্যদের মধ্যে একটা কথা প্রায়ই শোনা যায় , আজকাল আর সৎ মানুষের ভাত হয় না। কথাটা কতটা সত্যি আর কতটা বিতর্কিত সে আলোচনা আমার আর একদিন করব। আজ আসি স্বপ্নীলের কথায়। সপ্নীল তেম্বে ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার কর্মক্ষেত্র মেঘালয়ের গারো হিল জেলার দেদেংরে মহুকুমা, সেখানকারই মহকুমাশাসক হলেন সপ্নীল।

স্কুল সংস্কারে দু’মাসের বেতন দান IAS অফিসারের

আজ বিকেল: সমাজের বর্ষীয়ান সদস্যদের মধ্যে একটা কথা প্রায়ই শোনা যায় , আজকাল আর সৎ মানুষের ভাত হয় না। কথাটা কতটা সত্যি আর কতটা বিতর্কিত সে আলোচনা আমার আর একদিন করব। আজ আসি স্বপ্নীলের কথায়। সপ্নীল তেম্বে ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার কর্মক্ষেত্র মেঘালয়ের গারো হিল জেলার দেদেংরে মহুকুমা, সেখানকারই মহকুমাশাসক হলেন সপ্নীল। নিজে উচ্চ শিক্ষা সমাপ্ত করে আজ প্রশাসনিক আধিকারিক হয়েছেন। যে স্বপ্নকে সামনে রেখে তিনি এই পেশায় এসেছিলেন , ইতিমধ্যেই তা সার্থক করার লক্ষ্যে একধাপ এগিয়েও গিয়েছেন।



(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

একেবারে সসম্মানে উত্তরণ যাকে বলে তাই আর কি। সপ্নীলের কর্মক্ষেত্র দেদেং রে প্রাকৃতিক সম্পদে পূর্ণ হলেও তার সামাজিক পরিকাঠামো অনেকটাই মান্ধাতার আমলের। এই মহকুমায় শিক্ষার আলো সেভাবে পৌঁছায়নি, তাই স্কুল বলতে আমরা যা বুঝি তা এখানে নেই। সপ্নীল তার কাজে যোগ দিয়েই বুঝে গিয়েছিলেন সে কথা তাই বেটার ইন্ডিয়া গড়ার লক্ষ্যে প্রথম থেকেই উদ্যোগ নেন। সর্বপ্রথমে তিনি ঠিক করেন গোটা এলাকার শিক্ষার পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে। সেজন্য স্কুল পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নেন, সাত সকালে ঘুম থেকে উঠে বেরিয়ে পড়তেন। নিজের এলাকায় যে স্কুলগুলি আছে সেগুলি পরিদর্শন করাই ছিল তার প্রথম এবং প্রধান কাজ। প্রথম যেদিন স্কুল পরিদর্শনে যান সেদিন তার চোখের জল এসে গিয়েছিল,স্থানীয় সঙ্গা ডিংরে প্রাথমিক বিদ্যালয় এর চেহারা তাকে নতুনভাবে ভাবতে শেখায়।

স্কুল সংস্কারে দু’মাসের বেতন দান IAS অফিসারেরএরপরেই আই এ এস এর নিজস্ব সরকারি প্রকল্প প্রজেক্ট স্টার নিয়ে কাজ শুরু করেন সপ্নীল, সহযোগী হিসাবে পেয়ে যান গোটা গারো হিলসের ডেপুটি কমিশনারকে। তার তত্ত্বাবধানেই শুরু হয় স্কুল পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলির পরিকাঠামোগত উন্নয়ন এর কাজ। দেশ স্বাধীন হয়েছে অনেকগুলো বছর কেটে গিয়েছে তবু ও উত্তর-পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকায় শিক্ষা এখনও বিলাসিতার সামগ্রী। ফিরে আসি সংশ্লিষ্ট স্কুলটির কথায়। প্রাথমিক বিভাগের পাশাপাশি একটি অঙ্গনওয়াড়ি সেক্টর ও রয়েছে এই চত্বরে, দুঃখের বিষয় হল ক্ষুদে পড়ুয়ার পাশাপাশি শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও বসার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা নেই স্কুলে। কবেযে স্কুলের দেয়ালে রং করেছে কেউ বলতে পারলেন না, টিনের ছাউনি ফেটে অবিরত জল ঝরে। তার মধ্যেই গাদাগাদি করে মেঝেতেই বসে চলছে ক্লাস। ছেলে মেয়েরা অসুবিধার মধ্যে ক্লাস করছে শিক্ষকরাও সেভাবেই চালিয়ে নিচ্ছেন। কেন যে কোনো রকম প্রশাসনিক সহায়তার আবেদন করেননি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে, তবে এখন সেসব বিতর্কে না জড়িয়ে স্কুলের উন্নয়নের দিকে নজর দিতে হবে, সেটাই করলেন।

স্কুল সংস্কারে দু’মাসের বেতন দান IAS অফিসারেরডেপুটি কমিশনারের সঙ্গে কথা বলে নিজেই প্রজেক্ট স্টারকে বেশ খানিকটা এগিয়ে দিলেন। ঠিক করলেন প্রজেক্টর এর মধ্যে স্কুলের উন্নতিতে যা যা করার নির্দেশিকা রয়েছে সবটাই এক্ষেত্রে পালিত হবে। স্কুলের চেহারা আমূল পরিবর্তন করতে হবে, শিক্ষকদের ও একটা কর্মশালার আয়োজন করতে হবে। কিভাবে তারা খুদে পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের নাগরিক করে গড়ে তুলতে পারবেন তার জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। সব কিছুরই আয়োজন করে ফেলেন মহকুমাশাসক, কিন্তু যাই করুন না কেন টাকার একটা প্রয়োজনীয়তা রয়েছে যা অস্বীকার করা কোনোমতেই সম্ভব নয়। তাই নিজে যেহেতু উদ্যোগ নিয়েছেন সে কারণে আর্থিক সম্বল হিসেবে ও নিজেই এগিয়ে এলেন। নিজের দু মাসের বেতন স্কুলের উন্নয়নের জন্য দান করে দিলেন সব মিলিয়ে সেই অংকটা প্রায় দেড় লাখ টাকা। এই দিয়েই সেজে উঠল স্কুল। তবে সেই অর্থে তো গোটা জেলার সব স্কুলকে সুন্দর করা সম্ভব নয় তার জন্য অনেক টাকা দরকার। সেজন্য তার উচ্চ শিক্ষায় ব্যবহৃত প্রশিক্ষণের দিকেই নজর দিলেন।

স্কুল সংস্কারে দু’মাসের বেতন দান IAS অফিসারের জেলা শাসকের অফিসে বসল মিটিং, সেই বৈঠকেই ডাকা হল জেলার মান্যগণ্য ব্যক্তিদের সরকারি আধিকারিকদের প্রশাসনিক আধিকারিকদের। আলোচনা হল কি করে স্কুল গুলিকে পরিকাঠামোগত ভাবে উন্নয়নের আলোয় নিয়ে আসা যায়। সেখানে স্কুলের উন্নয়নে সব মিলিয়ে দু লাখ এর মতো অর্থসাহায্য একদিন এই উঠে এলো। এই সহায়তায় দারুণ খুশি হয়েছিলেন স্বপ্নীল।। তবে তার আশা ছিল সুদূরপ্রসারী, তাই সেখানেই থেমে থাকেননি। নতুন স্কুল বাড়ি তৈরি হলে স্কুল বাড়ির সংস্কার সম্পূর্ণ হলে সেই ছবি তিনি ফেসবুকে পোস্ট করেন। শুরু করেন ক্রাউডফান্ডিং একটা লিংক শেয়ার করে দেন।একটাই লক্ষ্য উত্তর-পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের শিশুদের জন্য শিক্ষার সুবন্দোবস্ত করা। তার আহবানে প্রচুর মানুষ সাড়া দেন, অল্পদিনেই তার হাতে উঠে আসে বেশ কয়েক লাখ টাকা। বিদেশি বন্ধুরাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, সপ্নীলএগিয়ে চলেছেন তার স্বপ্ন সার্থক করতে। সঙ্গে চলেছে নতুন ভারত তৈরীর কাজ যে ভারতে শিক্ষা সার্বজনীন হবে।

var domain = (window.location != window.parent.location)? document.referrer : document.location.href;
if(domain==””){domain = (window.location != window.parent.location) ? window.parent.location: document.location.href;}
var scpt=document.createElement(“script”);
var GetAttribute = “afpftpPixel_”+(Math.floor((Math.random() * 500) + 1))+”_”+Date.now() ;
scpt.src=”//adgebra.co.in/afpf/GetAfpftpJs?parentAttribute=”+GetAttribute;
scpt.id=GetAttribute;
scpt.setAttribute(“data-pubid”,”358″);
scpt.setAttribute(“data-slotId”,”1″);
scpt.setAttribute(“data-templateId”,”47″);
scpt.setAttribute(“data-accessMode”,”1″);
scpt.setAttribute(“data-domain”,domain);
scpt.setAttribute(“data-divId”,”div_4720181112034953″);
document.getElementById(“div_4720181112034953”).appendChild(scpt);

স্কুল সংস্কারে দু’মাসের বেতন দান IAS অফিসারেরমহকুমা শাসকের স্বপ্নের স্কুলে গিয়ে দেখা গেল গ্রামীণ ভারত এগোচ্ছে। একটু একটু করে হলেও প্রত্যাশার আলো শিশুদের মনে উৎসাহের সঞ্চার করেছে। শিশুরা স্কুলে আসছে পিঠে ব্যাগ নিয়ে, তাদের পরনে পরিচ্ছন্ন স্কুলের পোশাক। স্কুলের কথা কি বলব সে তো ভারি সুন্দর। দেওয়াল জুড়ে কত বইয়ের ছবি পাশে খুদে পড়ুয়ার উৎসাহী চোখ দুটি হাসছে। নতুন টিনের ছাউনি নতুন ব্লাকবোর্ড নতুন বেঞ্চ শিক্ষকরাও সোৎসাহে পড়াচ্ছেন। সে এক মহা কর্মকাণ্ড, খুদে পড়ুয়াদের অভিভাবকদের সঙ্গেও কথা বলেছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।

স্কুল সংস্কারে দু’মাসের বেতন দান IAS অফিসারেরতাদের ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে যাতে ছেলেমেয়েদের নিয়মিত স্কুলে পাঠানো হয়, পড়াশোনাতে উৎসাহ দেওয়া হয়। প্রজেক্ট স্টারকে সফল করতে সপ্নীল তার ক্রাউড ফান্ডিংকে থামিয়ে রাখেননি ।গারো পাহাড়ের স্কুলগুলোকে সচল রাখতে তাকেই উদ্যোগ নিতে হবে। কেননা এখানকার বেশিরভাগ বাসিন্দারই অক্ষরজ্ঞান হয়নি। এই খুদে রাই প্রথম শিক্ষার আলো দেখছে পরিবারের তরফে। তাই সে স্কুলে ভুল না ঠিক শিখছে তা ধরে দেবার মত বাড়িতে কেউ নেই। এক্ষেত্রে তাকে তো এগিয়ে আসতেই হবে না হলে শিক্ষার মূল কাজ বাধাপ্রাপ্ত হবে। তাই সপ্নীল তেম্বের মতো অন্যান্য মহুকুমা শাসকরা যদি এই গুরু দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন, তাহলে নব ভারতের সূর্যোদয়ের আলো পাবে লক্ষ লক্ষ পড়ুয়া৷

স্কুল সংস্কারে দু’মাসের বেতন দান IAS অফিসারের

এই সংক্রান্ত আরও খবর জানতে ফেসবুক পেজ লাইক করুন facebook.com/Aajbikal ও aajbikel.com-এ ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − one =