প্রতি বছর ছাত্র-ছাত্রীদের ট্যাব দেবে সরকার! ‘তরুণের স্বপ্ন’ মুখ্যমন্ত্রীর

প্রতি বছর ছাত্র-ছাত্রীদের ট্যাব দেবে সরকার! ‘তরুণের স্বপ্ন’ মুখ্যমন্ত্রীর

e17f12b6868ddae0ced26d5c40083ddb

কলকাতা: ভোটের আগের বাজেটে নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র অসুস্থ, আর সেই জন্যই শুক্রবার বিধানসভায় প্রথমবারের জন্য বাজেট পেশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের ঠিক আগে অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করে সবাইকে চমকে দেন তিনি। শিক্ষাখাতে দিলেন বিশেষ নজর। আগামী অর্থবছরের জন্য শিক্ষাখাতে বরাদ্দ করলেন মোটা অঙ্কের অর্থ।

রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে এই প্রথম স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করলেন। তাও আবার বিধানসভা ভোটের ঠিক আগেই। এদিনের এই বাজেট থেকে নতুন এক প্রকল্পের ঘোষণা করে নজির গড়লেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বললেন, “দ্বাদশ শ্রেণীর প্রায় ৯ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীকে দশ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে ট্যাব কেনার জন্য। এটা এবারে হয়েছে। এখন আগামী অর্থবর্ষ থেকে প্রতিবছর দ্বাদশ শ্রেণীর সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের একটি করে ট্যাব দেওয়া হবে। এই প্রকল্পের নাম আমরা দিচ্ছি ‘তরুণের স্বপ্ন’। আগামী অর্থবর্ষে এই খাতে ৯০০ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দের প্রস্তাব রাখছি আমি।”

বিধানসভা ভোটের ঠিক আগমুহূর্তে দাঁড়িয়ে রাজ্যের সমস্ত শ্রেণীর, জাতি ও পেশার মানুষকে খুশি করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে তৃণমূল সরকার। প্রায় প্রতিটি জেলার জনসভা থেকেই বিজেপিকে কটাক্ষ করার পাশাপাশি সেখানকার স্থানীয় মানুষের জন্য ঢালাও সুযোগ-সুবিধা আনছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তবে করোনা আবহে প্রায় ১১ মাস স্কুল-কলেজ বন্ধের কারণে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল সরকারের নয়া প্রকল্প ‘তরুণের স্বপ্ন’ হিট করবে বলেই আশা করছে দল।

তবে এই প্রকল্প নিয়ে খুব একটা খুশি নন মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি বা এসটিইএ-এর দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা সম্পাদক অনিমেষ হালদার। তিনি বললেন, “শিক্ষাক্ষেত্রে শূন্যপদে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ এবং পরিকাঠামোগত উন্নয়নের দিকে লক্ষ্য না দিয়ে সরকারি কোষাগার থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর প্রত্যেক শিক্ষার্থীর হাতে ট্যাব তুলে দেওয়ার যৌক্তিকতা কোথায় আমরা বুঝতে পারছি না। এতে ভোটে রাজনৈতিক চমক দেওয়া যাবে, কিন্তু শিক্ষার কোন উন্নতি হবে না।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *