নয়াদিল্লি: কিছুদিন আগেই ভারতের আগামী প্রজন্মের জন্য গুরুতর ভবিষ্যতবাণী শুনিয়েছে ইউনিসেফ (UNICEF)৷ ২০৩০ সালের মধ্যে এদেশের শিক্ষিত তরুণ প্রজন্ম ভালো কোনো চাকরি পাবেনা শুধুমাত্র যুগোপযোগী দক্ষতার অভাবে৷ তবে শুধুমাত্র ভারত নয় সমস্ত দক্ষিণ এশিয় দেশগুলির জন্য এই আগাম সতর্কতা৷ এর অর্থ, হাতেকলমে কাজের অভিজ্ঞতা না থাকলে শুধুমাত্র ক্লাসের পড়া করেই দক্ষাতার সঙ্গে কোনো কাজ করা সম্ভব না৷ এই চিন্তাভাবনা থেকেই এখন থেকে হাতেকলমে কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নিল ইউজিসি৷
তিন বছরের স্নাতক স্তরে ছ’মাস কমিয়ে এই সময়ের মধ্যেই এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে৷ এই প্রকল্পের নাম হবে ‘সেমিস্টার আউটরিচ প্রোগ্রাম’৷ কমিশনের জানিয়েছে এই প্রকল্পে ছাএছাত্রীরা নিজেদের পছন্দমতো ক্ষেত্র বেছে নিয়ে সেখানকার কর্মীদের সঙ্গে কাজ করে সরাসরি অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারবে৷ এক্ষেত্রে কৃষি,শিল্প যেকোনো কর্মক্ষেত্র বেছে নিতে পারবে তারা৷
ইউজিসির মতে ক্লাসের পড়াশোনাই শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হতে পারেনা৷ পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে হবে৷ যা ভবিষ্যতে তাদের যোগ্যতা এবং দক্ষতার সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে৷ ইউজিসির ভাইস চেয়ারম্যান ভূষণ পটবর্ধন জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের জন্য নির্দিষ্ট রূপরেখা তৈরি করা হবে৷ যে সমস্ত ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীরা গিয়ে কাজের প্রশিক্ষণ নেবে, সেইসব সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হবে কমিশন৷ তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী এক্ষেত্রে সবটাই ছাত্রছাত্রীদের ইচ্ছেমত হবেনা৷ নির্দিষ্ট কিছু গাইডলাইন থাকবে৷
একটি সংস্থাকে ‘ফিল্ড ওয়ার্কের’ ছাত্রছাত্রীদের তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হবে৷ তাদের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে কোনো ছাত্র বা ছাত্রী কি কাজ করলো তার ওপর ক্রেডিট পয়েন্ট থাকবে যা পরবর্তীতে তাদের স্নাতকস্তরের পরীক্ষায় নম্বর হিসেবে যুক্ত হবে৷ এবিষয়ে একটি অ্যাপ আনার কথাও ভাবছে ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্টস কমিশন৷ ওই অ্যাপের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের নাম নথিভুক্ত করত পারব৷
তবে তিন বছরের স্নাতক স্তরে ঠিক কোন সময়টা এই কাজের প্রশিক্ষণ নেওয়া যাবে, তার জন্যও একটি রূপরেখা তৈরি করা হবে বলেও জানিয়েছে কমিশন৷ সূত্রের খবর ইউজিসির এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে শিক্ষকমহল৷ কাজের জগতে পড়ুয়াদের স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে এই পরিকল্পনা অত্যন্ত কার্যকরী হবে বলেই মনে করছেন তারা৷