আজ বিকেল: দুমাস স্কুল ছুটির নির্দেশিকা জারি করেছে শিক্ষা দপ্তর। এদিকে সেই নির্দেশ অমান্য করেই স্কুল চালু রইল কালনায়। সোমবার অভিনব ঘটনাটি ঘটেছে কালনার হিন্দ ু বালিকা বিদ্যালয়ে। মূলত অভিভাবকদের আবেদনে সাড়া দিয়েই স্কুল কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয় চালু রাখেন।নবম ও দশম শ্রেণির পরীক্ষাও নেওয়া হয়। একইসঙ্গে দ্বাদশ শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়াও এদিন চালু ছিল।
প্রসঙ্গত, ফনির আতঙ্কে গত তিন তারিখেই স্কুলে গরমের ছুটি ঘোষণা করে দেয় সরকার। একদিন দুদিন নয় ৩০ জুন পর্যন্ত চলবে ছুটি। এই ঘটনায় ছাত্রছাত্রী, শিক্ষকমহল ও অভিভাবকদের মধ্যেও ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এদিকে সরকার যাতে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয় তারজন্য স্কুল পরিদর্শক থেকে শুরু করে স্কুল সংসদের সভাপতির কাছেও স্মারকলিপি জমার হিড়িক পড়েছে। এক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের শিক্ষকরা।তাঁদের মতে এতদিন স্কুল বন্ধ থাকলে সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার উপর থেকে পড়ুয়া ও অভিভাবকদের আস্থা উঠে যাবে। এমনিতেই জেলায় স্কুলছুটের সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। দুমাস ধরে মিড-ডে মিল বন্ধ থাকলে সেই সংখ্যা হু হু করে বাড়বে। এদিকে একই সময় দিব্যি চলছে বেসরকারি স্কুল, স্বাভাবিক ভাবেি অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের আর সরকারি স্কুলে না পাঠিয়ে সেখানে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেবেন।
এই প্রসঙ্গে নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির পূর্ব বর্ধমান শাখার সভাপতি রাধেশ্যাম দাস জানান, সোমবারদিন পড়ুয়া ও অভিভাবকদের আবেদনে কালনার হিন্দু বালিকা বিদ্যালয় চালু ছিল। এই ঘটনায় আমরা আগ্রহী হয়ে পড়েছি, ছেলেমেয়েরা যে সরকারের দুমাসের ছুটিকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না তা ইতিবাচক লক্ষণ।তাই এহেন ছুটির নির্দেশিকা বাতিলের জন্য এবার শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগীদের এক ছাতার তলায় এনে আন্দোলন সংঘটিত করা হবে। ইতিমধ্যেই অভিভাবকদের তরফে এনিয়ে আবেদনপত্র জমা করা হয়েছে কালনার ওই স্কুলেষ সেই আবেদনপত্রকে হাতিয়ার করে পথে নামতে চাইছে রাজ্যের শিক্ষকমহল। এদিকে একদিকে অভিভাবকদের গণআবেদন ও ছাত্রীদের সিলেবাস শেষ করানোর চিন্তা, দুটি বিষয়কে মাথায় রেখেই হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এদিন স্কুলে আসেন। তাঁদের মতে, দুমাস স্কুল বন্ধ থাকলে পড়াশোনায় বড় রকমের ক্ষতি হবে। সিলেবাস শেষ হবে না, তড়িঘড়ি সামাল দিতে গেলে ছাত্রীরা কিছুই শিখে উঠতে পারবে না।